Mahashivratri 2024: মহারহস্য! ভোলেনাথের জন্ম কখন ও কীভাবে হয়েছিল, জানেন না ৯৯ শতাংশ
Mythology: মহাদেবকে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বৃহৎ শিবপুরাণ’ অনুযায়ী ত্রিদেবের মধ্যে প্রাচীনতম মহাদেবই। বলা হয় তিনিই অন্যান্য দেবতাদের সৃষ্টি করেছিলেন। শিবপুরাণ মতে, তিনি আসলে স্বয়ম্ভূ। শিবকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজে নিজেই উদ্ভূত হয়েছিলেন। সব ধ্বংস হয়ে গেলেও তিনি থেকে যাবেন। তিনি আদিঅনন্তকাল ধরে বিরাজমান।

সারাবছর শিবের সেবা যারা করেন, তাদের কাছে তো বটেই, শিবভক্তদের কাছে মহাশিবরাত্রি গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ এই বিশেষ দিনে ভক্তরা মনের ইচ্ছেপূরণ করার জন্য কঠিন উপবাস পালন করে থাকেন। প্রতি মাসের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি উপবাস পালন করে থাকেন। ক্যালেন্ডার অনুসারে, এ বছর মহাশিবরাত্রি পালিত হবে আগামী ৮ মার্চ। এই বিশেষ দিনে দেবী পার্বতী ও মহাদেব বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাই উভয় দেবদেবীকেই আরাধনা করা হয় এদিন। অনেকে মনে করেন, এদিন উপবাস রেখে শিবপুজো করলে শিবের মতো ভোলেভালা স্বামী পাওয়া যায়। দাম্পত্যজীবনে আসে সুখের বন্যা। মনের মত জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য সকাল থেকে উপবাস রেখে শিবের পুজো করে থাকেন অনেকে। শিবের স্ত্রী কে, তাঁর সন্তানের নাম ও পরিচয় ও মহাদেবের শক্তি ও মাহাত্ম্যের কাহিনি অনেকেই জানেন, কিন্তু দেবতাদের দেবতা মহাদেবের জন্ম কোথায়, কীভাবে হয়েছিল, সেই রহস্যময় কাহিনি জানেন না বহুজন।
শিবের জন্মরহস্য
দেবাদিদেব মহাদেব হলেন ত্রিলোকনাথ পরমেশ্বর। মহাদেবের উপর আর কেউ শ্রেষ্ঠ নয়। হিন্দু পুরাণে মহাদেবের নানাকাহিনি ও কীর্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। শিবপুরাণ, স্কন্দ পুরাণে মহাদেব সম্বন্ধে নানা তথ্য পাওয়া যায়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একটা সময় আসে, ভগবান সদাশিব ও পরাশক্তির মনে অন্য মানুষ সৃষ্টির মনোবাসনা জাগে। এই ইচ্ছা পূরণের জন্য তারা উভয়েই তাদের ডান দিক থেকে ব্রহ্মাদেব ও বাম দিক থেকে বিষ্ণুদেবকে সৃষ্টি করেছিলেন। ব্রহ্মাদেব ও পরাশক্তি সৃষ্টি করার পর, ভগবান বিষ্ণুর পদ্মনাভিতে স্থাপন করেছিলেন তাঁরা। এভাবে ভগবান বিষ্ণুর নাভি পদ্ম থেকে ব্রহ্মাজির উৎপত্তি হয়।
সৃষ্টি করার পর ব্রহ্মাকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়, অন্যদিকে বিষ্ণুদেব মহাবিশ্বের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পান। একদিন ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু, তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ? এই বিতর্কের সময় এক ঐশ্বরিক আলো আবির্ভূত হয়েছিল।, যেখানে একটি বিশাল শিবলিঙ্গ ছিল। সেই শিবলিঙ্গের উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে একটি ভবিষ্যদ্বাণীও ছিল। সেই বাণীতে বলা হয়েছিল, তোমরা উভয়েই আমার দ্বারা সৃষ্টি। ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর থেকেও শ্রেষ্ঠ একজন হিসেবে মহাদেবের জন্ম হয়েছিল।
অন্যদিকে বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, একবার ভগবান ব্রহ্মা ও ভগবান বিষ্ণু মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে বেজায় চিন্তা পরেছিলেন। ঠিক সেইসময় ভগবান শিবের আবির্ভাব ঘটে। ব্রহ্মা শিবের মূর্তি দেখে চমকে ওঠে। মনে মনে ভাবলেন, এই সুঠাম, শক্তিশালী ও সুদর্শন মূর্তি কার? সেইসময় ভগবান বিষ্ণু তাঁকে শিবের কথা জানান। এরপর ভগবান ব্রহ্মা ক্ষমা চেয়ে তাঁকে পুত্র রূপে বর চান। কিছুকাল পর যখন ব্রহ্মা ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করতে শুরু করেন, তখন তাঁর একটি সন্তানের প্রয়োজন হয়। তখন ব্রহ্মা ভগবান শিবের এই বর স্মরণ করলে তিনি শিবলাভ করেন। ভগবান ব্রহ্মা সেই শিশুর নাম রাখেন রুদ্র।
মহাদেবকে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বৃহৎ শিবপুরাণ’ অনুযায়ী ত্রিদেবের মধ্যে প্রাচীনতম মহাদেবই। বলা হয় তিনিই অন্যান্য দেবতাদের সৃষ্টি করেছিলেন। শিবপুরাণ মতে, তিনি আসলে স্বয়ম্ভূ। শিবকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজে নিজেই উদ্ভূত হয়েছিলেন। সব ধ্বংস হয়ে গেলেও তিনি থেকে যাবেন। তিনি আদিঅনন্তকাল ধরে বিরাজমান।
