Lighting a Lamp: সকালে ও সন্ধ্যেতে নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালানো কেন হয়, জানেন?
লোকবিশ্বাস ও পুরাণ মতে, ঈশ্বরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে কেউ কেউ ঈশ্বরের কৃপাও পেতে পারেন। ঘি বা তেলের প্রদীপ জ্বালানো ধর্মীয় উপকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকার হয়।
অধিকাংশ প্রতিদিন বাড়িতে সঠিকভাবে পূজা করতে সক্ষম হন না। তবে তাঁরা অবশ্যই তুলসী মঞ্চে বা ঠাকুরের সামনে সকালে এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালান। লোকবিশ্বাস ও পুরাণ মতে, ঈশ্বরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে কেউ কেউ ঈশ্বরের কৃপাও পেতে পারেন। ঘি বা তেলের প্রদীপ জ্বালানো ধর্মীয় উপকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকার হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যদি প্রদীপ জ্বালানোর সময় কিছু জিনিসের যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে শীঘ্রই ইচ্ছা পূরণ হতে পারে।
প্রদীপের সঙ্গে সম্পর্কিত এই বিশেষ জিনিসগুলি জেনে নিন ..
১. শাস্ত্র অনুসারে, নিয়মিত একটি বাতি জ্বালানোর মাধ্যমে ঘরে ইতিবাচক শক্তি ফিরে আসে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান দরজায় প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবী লক্ষ্মী খুশি হন।
২. পুজো করার সময়, বাম দিকে ঘি-র প্রদীপ জ্বালানো উচিত। তেলের প্রদীপ ডানদিকে রাখতে হবে।
৩. প্রদীপ সবসময় ঈশ্বরের মূর্তির সামনে বা ডান দিকে রাখা উচিত। ঘিয়ের প্রদীপের জন্য সাদা তুলার আলো ব্যবহার করা উচিত। যেখানে বলা হয় লাল সুতির আলো তেল প্রদীপের জন্য সেরা।
৪. পূজার সময় একটি ভাঙা বাতি জ্বালানো উচিত নয়। ভাঙ্গা উপাদান ধর্মীয় কাজে শুভ বলে বিবেচিত হয় না। প্রদীপ জ্বালানোর সময় এই মন্ত্রটি জপ করা উচিত-
”শুভম করতি কল্যাণ, স্বাস্থ্যমণ সম্পদম। শত্রু বুদ্ধ বিনাশয়, দীপান জ্যোতি নমোসতুতে ।।”
এই মন্ত্রের সহজ অর্থ হল প্রদীপের আলোকে নমস্কার, যা শুভ ও কল্যাণ দেয়, স্বাস্থ্য ও সম্পদ দেয়, শত্রু বুদ্ধি ধ্বংস করে।
৫. শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে মন্ত্র জপ করে প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সম্পদ ও সম্পত্তিও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, শত্রুদের বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন : Kamakhya Shaktipeeth: কোচবিহারের সঙ্গে কামাখ্য়া মন্দিরের নিবিড় যোগ রয়েছে! এর পিছনে রয়েছে জোরালো ইতিহাস