Virat Kohli: ব্যাটার নাকি স্প্রিন্টার? ২২ গজেই ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দৌড় বিরাটের!
Virat Kohli Running Between The Wicket: এর মধ্যে কেরিয়ারে এক বার দৌড়ে চার রানও নিয়েছেন বিরাট কোহলি। ২০১৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে দৌড়ে চার রান নিয়েছিলেন। বাইশ গজেই যিনি এত দৌড়োন, ফিল্ডিংয়ে কতটা হতে পারে, অনুমান করাও যেন কষ্টকর!
টু…। এটুকু শুনলেই অনেক ব্যাটিং পার্টনারের স্নায়ুর চাপ বেড়ে যেতে পারে। সাধারণ ক্রিকেট প্রেমীর চোখে মনে হতে পারে, এখানে বল ঠেলে খুব বেশি হলে এক রান নেওয়া যেতে পারে। বিরাট ক্রিজে থাকলে সেটা দুই না হওয়ার কিছু নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রে, যেখানে বাকি ব্যাটাররা রান নেওয়ার কথা ভাবতে পারবেন না, বিরাট ঠিক সেখান থেকেও রান নিতে পারেন। বিরাট কোহলি ক্রিজে থাকলে যে কোনও ফিল্ডারের কাছেই চাপ। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অনেক ভালো ফিল্ডারও বল ফসকান। একেকটা সময় মনে হয়, বিরাট কোহলি আদৌ ব্যাটর তো! নাকি কোনও স্প্রিন্টার? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ১৫ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পর এই পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতোই। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports– এর এই প্রতিবেদনে।
টেস্ট ক্রিকেটে খেলার ধরণ এখন অনেকটাই বদলেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর পর থেকে কোনও দলই ইচ্ছাকৃত ড্র করতে চায় না। বরং লক্ষ্য থাকে ম্যাচ জেতার। এর জন্য ঝুঁকি নিতেও পিছপা হয় না দলগুলি। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের কথা উল্লেখযোগ্য। তাদের টেস্ট খেলার ধরণ বিশ্ব ক্রিকেটে উদাহরণ তৈরি করেছে। তবে ইংল্যান্ডের খেলার মধ্যে অতিরিক্তি ঝুঁকি রয়েছে। ওভার প্রতি রান তোলার গতি তুলনামূলক বেশি। ইংল্যান্ড ব্যাটাররা বাউন্ডারিতেই জোর দেন বেশি। বাকিদের সঙ্গে যেন বিরাট কোহলির এখানেই পার্থক্য।
বিশ্ব ক্রিকেটে ফিটনেসের দিক থেকে শীর্ষ সারিতে থাকবেন বিরাট কোহলি। তাঁর ফিল্ডিংও নজরকাড়া। তেমনই রানিং বিটউইন দ্য উইকেট। বিরাটের সঙ্গে জুটি গড়া মানে যে কোনও পরিস্থিতিতে রান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আজকের দিনেই অভিষেক হয়েছিল বিরাটের। ১৫ বছরের কেরিয়ারে ২২ গজেই মোট ৫১০ কিলোমিটার দৌড়েছেন বিরাট কোহলি! চমকে দেওয়ার মতোই পরিসংখ্যান। এর মধ্যে নিজের রানের জন্য দৌড়েছেন প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার। সঙ্গীর ডাকে প্রায় ২৩৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে কেরিয়ারে এক বার দৌড়ে চার রানও নিয়েছেন বিরাট কোহলি। ২০১৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে দৌড়ে চার রান নিয়েছিলেন। বাইশ গজেই যিনি এত দৌড়োন, ফিল্ডিংয়ে কতটা হতে পারে, অনুমান করাও যেন কষ্টকর!