কলকাতা: টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বোলিংয়ে বরাবরই নেতৃত্ব দেন। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে আলোচনায় থাকেন স্পিনাররা। হায়দরাবাদ টেস্টেও তাই। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। দু-দলের কাছেই এই সিরিজ নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। দু-দলই চাইছে একটা দুর্দান্ত শুরু। সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখাই লক্ষ্য ভারত-ইংল্যান্ডের। হায়দরাবাদ টেস্টে এখনও অবধি দাপট স্পিনারদেরই। এর মধ্যেই আলাদা করে নজর কাড়ছেন জসপ্রীত বুমরা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বোলিং কোচ জানিয়ে গেলেন বুমরার আরও একটা বড় দিকের বিষয়ে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছে। দিনের শুরুটা অবশ্য ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য হতাশার। আগের দিনের স্কোরে মাত্র ১৫ রান যোগ করেই অলআউট। ম্যাচের রাশ পুরোপুরি দখলে আনতে বোলাররাই ভরসা ছিলেন। স্পিন সহায়ক পিচে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়ে সেটাই করেন জসপ্রীত বুমরা। প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানের লিড নেয় ভারত। একটা সময় মনে হয়েছিল, ইনিংস জয়ও সম্ভব। তবে ইনিংস হার আটকাতে মরিয়া ব্যাটিং ইংল্যান্ডেরও। বাজবল স্টাইলেই ব্যাট করছিলেন বেন ডাকেট।
ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড বলা যায় জো রুটকে। তিনি ক্রিজে থাকলে যে কোনও কিছুই হতে পারে। ভারতীয় শিবিরের এই দুই কাঁটা উপড়ে ফেলেন বুমরা। ডাকেটকে লাগাতার অফস্টাম্পের বাইরে বোলিং করছিলেন। হঠাৎই একটা ইনসুইং। বা বলা ভালো রিভার্স সুইং। কেন না, বাঁ হাতি ডাকেটের বিরুদ্ধে সিমের দিক ছিল স্লিপে। সেই বল ভিতরে ঢুকবে, যেন প্রত্যাশা করেননি ডাকেট। ক্লিন বোল্ড। রুটের জন্য অন্য অস্ত্র রেখেছিলেন বুমরা। গতির হেরফের করেন। রুট অফ ও মিডল স্টাম্প গার্ড নিয়েছিলেন। ফুল লেন্থ ডেলিভারি মিডল স্টাম্পে পড়ে কিছুটা ভিতরে, রুট উইকেটের লাইন থেকে সরতে পারেননি। মিডল ওভারে এই দুই জোড়া ধাক্কা ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল।
স্পিনারদের নিয়ে যাবতীয় আলোচনার মাঝে বোলিং কোচ বুমরাকে বাড়তি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন। ভারতের বোলিং কোচ পারশ মামরে বলছেন, ‘বুমরা দুর্দান্ত বোলিং করছিল। দু-দিকেই মুভ করিয়েছে। ও স্পেশাল বোলার। বিদেশের মাটিতে অহরহ এমন পারফর্ম করে থাকে। দেশের মাটিতে খুব বেশি টেস্ট খেলেনি। যেটুকু সুযোগ পেয়েছে, বুঝিয়ে দিয়েছে যে কোনও পরিস্থিতিতেই ও কতটা দক্ষতা। আর বুমরা শুধু বোলার নয়। ড্রেসিংরুমে ওর উপস্থিতি, কথা বার্তা টিমের মধ্যে আলাদা স্ফূর্তি আনে। মাঠেও যখন কোনও আলোচনা হয়, পরামর্শ দেয়। ওর ভাবনা-চিন্তা দলের কাজে লাগে।’