
সব ম্যাচ জিতে এশিয়া সেরা ভারত। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারাল ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানেই অলআউট করে ভারত। জবাবে ৫ উইকেটে জয়। দুর্দান্ত ইনিংস তিলক ভার্মার। বোলিংয়ে কুলদীপ যাদব ৪ উইকেট নেন। এ ছাড়া বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেল এবং জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) দুটি করে উইকেট নেন। সব ম্যাচ জিতলেও সূর্যকুমার যাদবদের (Suryakumar Yadav) মাথাব্যথা ছিল ক্যাচ মিসের সমস্যা। ফাইনালে তা অস্বস্তিতে ফেলেনি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে ফাইনালে প্রথম বার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। পাক-বধ করেই নবম ট্রফি ভারতের ঝুলিতে। যদিও পুরস্কার বিতরণে ট্রফি নিল না চ্যাম্পিয়ন ভারত। ট্রফি ছাড়াই সেলিব্রেশনে মাতলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ফাইনালে ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের সমস্ত আপডেট পাবেন এই লিঙ্কে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান। পাকিস্তানের মন্ত্রীও। সেই মহসিন নকভি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ভারতীয় বোর্ডের তরফে ইঙ্গিত ছিল, খেতাব জিতলে মহসিন নকভির থেকে পুরস্কার নেবে না ভারতীয় দল। সেটাই হল। উইনিং ট্রফি দেওয়ার জন্য় মঞ্চে ছিলেন মহসিন নকভি। কিন্তু পুরস্কার নিল না ভারত। সঞ্চালক সাইমন ডুল বলেন, ‘আমাকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় দল আজ রাতে পুরস্কার নেবে না।’ বিস্তারিত পড়ুন: নাক কাটা গেল পাক মন্ত্রীর! ট্রফিই নিল না চ্যাম্পিয়ন ভারত
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট ভারতের তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা। আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি পেলেন একটি গাড়িও। ফাইনালে বড় ইনিংস না এলেও টুর্নামেন্টে ৩০০-র বেশি রান। একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। পুরস্কার নিয়ে বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর থেকেই ওপেনিং স্লটে জায়গা করা সহজ ছিল না। বিধ্বংসী পারফর্ম করতে হত, টিমের জয়ে অবদান রাখতে হত। এরকম বিধ্বংসী ক্রিকেটই খেলতে চাই। তবে সেটা যেন টিমের জন্য অবদান রাখা যায়।’
টুর্নামেন্টের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কার জিতলেন কুলদীপ যাদব।
ভারতের রান তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিলক ভার্মা। চারটি ছয় তাঁর ৬৯ রানের ইনিংসে। সবচেয়ে ছয় মারার পাশাপাশি ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতলেন তিলক ভার্মা। পুরস্কার নিয়ে তিলক বললেন, ‘একটু চাপের মুহূর্ত ছিল। সময় নিতে চেয়েছিলাম। ওরা গতির হেরফেরে ভালো বোলিংয়ের চেষ্টা করেছিল। আমি ক্রিজে থাকতে চেয়েছিলাম। সঞ্জু, শিবমও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এই দু-জনকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। আমরা যে কোনও পরিস্থিতি, ব্যাটিং অর্ডারে যে কোনও পজিশনের জন্য তৈরি। এখানে পিচ যেহেতু স্লো ছিল, গৌতি স্যারের সঙ্গে আগে কথা হয়েছে, কী ভাবে খেলব। জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস। প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীর জন্য বলব-চক দে ইন্ডিয়া।’
গেম চেঞ্জার অব দ্য ম্যাচ। বোলিংয়ে দুর্দান্ত, ব্যাটিংয়েও ইমপ্যাক্ট ইনিংস। শিবম দুবে জিতলেন গেম চেঞ্জার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার।
রিঙ্কু সিংয়ের সেই মন্তব্য মনে পড়ে? গডস প্ল্যান বেবি! এটাই যেন হল আরও এক বার। পুরো টুর্নামেন্টে একটিই ডেলিভারি, তাতেই ট্রফি। বিস্তারিত পড়ুন: এক বলেই উইনার, নিজের লেখা স্ক্রিপ্ট মিলিয়ে দিলেন রিঙ্কু সিং!
গ্রুপ, সুপার ফোরের পর ফাইনাল। পাকিস্তানকে হারানোর হ্যাটট্রিক একই টুর্নামেন্টে। রেকর্ড নবম বার চ্যাম্পিয়ন ভারত। ম্যাচ রিপোর্ট বিস্তারিত পড়ুন : পাকিস্তানকে হারানো বাঁ হাতের খেল, ষষ্ঠীতেই ‘নবমী’ ভারতের
এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেললেন রিঙ্কু সিং। অবশেষে স্ট্রাইক পেলেন শেষ ওভারে। তখন প্রয়োজন ১ রান। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন রিঙ্কু সিং। জয়ের নায়ক অবশ্যই তিলক ভার্মা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। রেকর্ড নবম এশিয়া কাপ জয় ভারতের।
স্লো ওভার রেটের জন্য সার্কেলের বাইরে চার ফিল্ডার। সাধারণত পাঁচ ফিল্ডার রাখা যায়। সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় পাকিস্তানের শাস্তি।
অল্পের জন্য রান আউট থেকে রক্ষা তিলক ভার্মার। বল কালেক্ট করলেও সঠিক সময়ে স্টাম্পে লাগাতে পারেননি পাক কিপার মহম্মদ হ্যারিস। তিলক ভার্মা ডাইভ দিয়ে কোনওরকমে ক্রিজে।
সঞ্জু স্যামসনের ক্যাচ ড্রপ হয়েছিল। সে সময় দলের স্কোর ৪২, সঞ্জুর ১২। আবরার আহমেদের বোলিংয়ে ফিরলেন সঞ্জু। তবে জুটি গড়ে পরিস্থিতি অনেকটা সামলে দিয়েছেন। ক্রিজে বাঁ হাতি শিবম দুবে। সঞ্জুকে ফিরিয়ে ট্রেডমার্ক সেন্ড অফ সেলিব্রেশন আবরার আহমেদের।
লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ আক্রমণে। সঞ্জু স্যামসন পুল করেছিলেন। মিড উইকেটে দৌড়ে বল অবধি পৌঁছন হুসেইন তালাত। যদিও ক্যাচ ড্রপ। হাত ফসকে বেড়িয়ে যায়। ভারতীয় সমর্থকরা সেলিব্রেশনে মেতে। কেউ যেন আবরার আহমেদের বোলিংয়ে আবরা কা ডাবরা ম্যাজিক মন্ত্র দিয়েছিলেন!
পাওয়ার প্লে শেষ। যদিও ভারতের কিছুটা হতাশার। অতিরিক্ত তাড়াহুড়োয় তিন উইকেট। তিলক ভার্মা ও সঞ্জু স্যামসন ধৈর্যশীল জুটি গড়ছেন। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তুলেছে ভারত।
ক্যাপ্টেনের পর ভাইস ক্যাপ্টেন। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো। কার্যত উইকেট উপহার দিয়ে ফিরলেন শুভমন গিল। ক্রিজে তিলকের সঙ্গে যোগ দিলেন সঞ্জু স্যামসন।
জেট উড়িয়েছিলেন হ্যারিস রউফ। বিষাক্ত ইয়র্কারে নামিয়ে দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। বিস্তারিত পড়ুন: হ্যারিস রউফের জেট নামিয়ে দিলেন জসপ্রীত বুমরা
সুপার ফোরের ম্যাচে শুরুটা সতর্ক করতে দেখা গিয়েছিল। এরপর গিয়ার শিফ্ট করেছেন। ফাইনালে অতিরিক্ত তাড়হুড়ো করে ফেললেন! অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল মিড উইকেটে টার্গেট করেছিলেন। কিন্তু ব্যাটের একেবারে মাথায় লাগে বল। সহজ ক্যাচ। মাত্র ৫ রানেই ফিরলেন অভিষেক।
সাহিবজাদা ফারহান ও ফকর জামানের ৮৪ রানের ওপেনিং জুটি। ১১৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। এরপর শুধুই যাওয়া আসা। কুলদীপের এক ওভারে তিন উইকেট। বুমরা এসে ফিনিশ করলেন। শেষ ৯ উইকেটে এল মাত্র ৩৩ রান। ১৪৬ রানেই শেষ পাকিস্তান।
কুলদীপের এক ওভারেই তিন উইকেট। সব মিলিয়ে তাঁর চতুর্থ শিকার। ১১৩ স্কোরে মাত্র ১ উইকেট ছিল পাকিস্তানের। ২১ রানে পড়ল ৭ উইকেট!
পরপর শুধু ক্রস ব্যাটে স্লগ সুইপ খেলার চেষ্টা করে গিয়েছেন। ব্যাটে বলে একটিও হয়নি। এবার অনেকটা শাফল করেছিলেন। বল প্যাডে লাগে। অনফিল্ড আম্পায়ার কুলদীপের আবেদনে সাড়া দেননি। ডিআরএসের ক্ষেত্রে কুলদীপের বিশ্বাসযোগ্যতা ভালো নয়। ক্যাপ্টেন সূর্য সাধারণত মন রাখার জন্য রিভিউ নেন তাঁর ক্ষেত্রে। এবারও কার্যত ক্যাপ্টেনের কাছে রিভিউ নিয়েই ছাড়লেন। তবে তৃতীয় শিকারও ছিনিয়ে নিলেন কুলদীপ।
পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ৮৪ রানে। একের পর এক উইকেট নিতে থাকেন ভারতের স্পিনাররা। একটা উইকেটের কথা লিখতে না লিখতেই আরও একটা। ক্যাপ্টেন সলমন আলি আঘাও দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে ফিরলেন। এ বার শাহিনকে লেগ বিফোর আউট দেন অনফিল্ডি আম্পায়ার। যদিও ডিআরএসে দেখা যায় বল গ্লাভসে লেগেছে।
একের সঙ্গে এক ফ্রি! পাকিস্তানের উইকেট পড়ছিল না। চাপ বাড়ছিল ভারতীয় শিবিরে। ৮৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ফের একটা পার্টনারশিপ হচ্ছিল। সায়াম আয়ুবের উইকেট পড়ে। মহম্মদ হ্যারিস ফিরলেন শূন্য রানে। এ বার চাপে পাকিস্তান।
ওপেনিং জুটি ভাঙলেন বরুণ চক্রবর্তী। সুপার ফোরে হাফসেঞ্চুরি করে গান সেলিব্রেশন করেছিলেন সাহিবজ়াদা ফারহান। অবশ্য সেই ম্যাচে দু-বার তাঁর ক্যাচ ফসকেছিল। ফাইনালে হাফসেঞ্চুরির পর ফিরলেন। রান যদিও নাগালের মধ্যেই রয়েছে ভারতের।
ভারতের বিরুদ্ধে একটা হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ফাইনালের মঞ্চে ফের হাফসেঞ্চুরি সাহিবজাদা ফারহানের। আগের বার গান সেলিব্রেশনে বিতর্কে পড়েছিলেন। আইসিসি অবধি গড়িয়েছিল তা। ফাইনালে তেমন কিছু করার সাহস দেখালেন না ফারহান।
পাওয়ার প্লে-তে ৪৫ রান তুলেছে পাকিস্তান। এই রানটা খুব বড় বলা যায় না। তবে ভারতের কাছে অস্বস্তি উইকেট তুলতে না পারাটা। ফিল্ডিং ছড়ানো হবে এ বার। বোলিংয়ে কুলদীপ। ব্রেক থ্রু-র অপেক্ষা।
যেন ঠিক টেস্ট ম্যাচের প্রথম সেশন। বুমরার বোলিংয়ে কার্যত বল লিভ করলেই বাঁচেন। প্রথম ডেলিভারিতে সিঙ্গল নিয়েছিলেন ফকর। এরপর সাহিবজ়াদা ফরহানের মিস…মিস…মিস…। অবশেষে একটা বাউন্ডার।
প্রথম চার বলের মধ্যে আউট সাইড মিস। ব্যাটে মাত্র একটা! সুইংয়েরও দেখা মিলল। অবশেষে পঞ্চম ডেলিভারিতে বাউন্ডারিতে খাতা খুলল পাকিস্তানের। প্রথম ওভারে ৪ রান। দুর্দান্ত প্রথম ওভার শিবম দুবের।
শিবম দুবেকে পাওয়ার প্লে-তে খুব একটা দেখা যায় না। জসপ্রীত বুমরা থাকলেও প্রথম ওভারে দেখা যেত হার্দিক পান্ডিয়াকে। ফাইনালে নেই হার্দিক। বোলিং ওপেন করছেন শিবম। কেরিয়ারে এই প্রথম বোলিং ওপেন করছেন অলরাউন্ডার শিবম দুবে।
টুর্নামেন্টে এখনও অবধি এক ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি রিঙ্কু সিং। হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে দরজা খুলল। সরাসরি ফাইনালের মঞ্চে একাদশে রিঙ্কু সিং। তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
হার্দিক পান্ডিয়া নেই। ভারতের মোট তিন বদল। জসপ্রীত বুমরা এবং শিবম দুবে ফিরেছেন। অর্শদীপ ও হর্ষিত রানা বাইরে। হার্দিকের জায়গায় খেলবেন রিঙ্কু সিং। ভারতের একাদশ: অভিষেক শর্মা, শুভমন গিল, তিলক ভার্মা, সূর্যকুমার যাদব, রিঙ্কু সিং, শিবম দুবে, সঞ্জু স্যামসন, অক্ষর প্যাটেল, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরা।
অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া নেই। চোট রয়েছে তাঁর। সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে এক ওভার বোলিং করেছিলেন মাত্র। এ দিন ওয়ার্ম আপও করেননি। আশঙ্কাই সত্যি হল। ফাইনালে নেই হার্দিক।
এশিয়া কাপের পর বিশ্রাম পাচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়ে কি খেলবেন হার্দিক পান্ডিয়া? টিম হাডলে দেখা গেল তাঁকে। ওয়ার্ম আপে যদিও নয়। চোট গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে। টসের অপেক্ষা। সেখানেই পরিষ্কার চিত্রটা বোঝা যাবে।
এখনও অবধি যা খবর, টসের সময় দু-জন সঞ্চালক থাকবেন। সাধারণত ব্রডকাস্টারের তরফে একজনকেই দেখা যায়। যদিও শোনা যাচ্ছে, ভারত-পাক হ্যান্ডশেক বিতর্কের আবহে ভারতের হয়ে রবি শাস্ত্রী থাকবেন যিনি সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে কথা বলবেন, পাকিস্তান ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলবেন ওয়াকার ইউনিস!
শাহিন আফ্রিদি বনাম অভিষেক শর্মা! প্রথম দু-রাউন্ডে অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখা গিয়েছে শাহিনের বিরুদ্ধে। ফাইনালের মঞ্চে এই দ্বৈরথের অপেক্ষা। বিস্তারিত পড়ুন: ৩-০? রবিবার যে দ্বৈরথে মুখিয়ে ভারতের বোলিং কোচ
শারদীয়ার আমেজ। এর মাঝে আজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমীরা। ম্যাচ প্রিভিউ বিস্তারিত পড়ুন: এশিয়া কাপে প্রথম বার! জিতলেই ‘নয়’ ভারতের
ভারত-পাকিস্তান রাইভালরি বলতে মানা করেছেন সূর্যকুমার যাদব। তা সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের নিরিখে। তবে উন্মাদনায় খামতি নেই। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব, সুপার ফোরের পর এ বার ফাইনালের মঞ্চে মুখোমুখি দু-দল। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলা। ম্যাচ শুরুর অপেক্ষায় বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীরা। লাইভ আপডেটের জন্য় নজর রাখুন এই পেজে।