
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত। প্রথম দল হিসেবে ট্রফির ম্যাচে জায়গা করে নিলেন সূর্যকুমাররা। সুপার ফোরে আরও এক ম্যাচ বাকি ভারতের। টানা দু-ম্যাচ জিতে ফাইনাল অবশ্য আগেই নিশ্চিত করে নিল। বাংলাদেশের বোলাররা যেভাবে পারফর্ম করেছিলেন তাতে অবশ্য পুঁজিটা সহজ ছিল না। এর আগে রান তাড়া করেছে পরপর। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে ভারত। পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায়। কম রানের পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত বোলিং। বুমরার পাশাপাশি স্পিনাররা পারফর্ম করলেন। কিন্তু জিতেও অস্বস্তি থেকেই গেল। পাকিস্তান ম্যাচে ৪-৫টি ক্যাচ ফসকেছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও একই পরিস্থিতি। ভারতের ফাইনাল নিশ্চিত হলেও বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি সেমিফাইনাল হয়ে দাঁড়াল। যে জিতবে ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে।
চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি বাংলাদেশের নিয়মিত ক্যাপ্টেন লিটন দাস। কিপার ব্য়াটার জাকের আলি নেতৃত্ব দেন। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন জাকের। ভারতের দুই ওপেনার সতর্ক শুরু করেন। এরপরই হাত খোলেন শুভমন গিল ও অভিষেক শর্মা। পাওয়ার প্লে-তেই ৭২ রান তুলে নেয় ভারত। যদিও পাওয়ার প্লে শেষ হতেই অস্বস্তি। শুভমন ফেরেন। অভিষেকের তাণ্ডব অবশ্য় থামেনি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। সেঞ্চুরির আক্ষেপ ছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ক্য়াপ্টেন সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট। ৭৫ রানে আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয় অভিষেককে। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে নানা রদবদল হয়। সেটাই ব্যাকফায়ার করে। শেষ দিকে হার্দিকের ক্য়ামিও ইনিংসে বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত।
ফ্রেশ পিচে খেলা। এই টার্গেট কঠিন বলা যায় না। তবে ভারতীয় বোলাররা শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেন। বিশেষ করে নতুন বলে জসপ্রীত বুমরার ৩ ওভারের স্পেল। পাওয়ার প্লে-তে তিন ওভারের এই স্পেলে ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট। সেই চাপ থেকে বাংলাদেশকে কিছুটা বের করেছিলেন সইফ হাসান। উল্টোদিক থেকে উইকেট নিতে থাকে ভারত। স্পিনাররা রান আটকান। আস্কিং রেট বাড়ে, উইকেটও আসে। বাংলাদেশ দ্রুত অলআউট হবে, এই সম্ভাবনা তৈরি হয়। শেষ অবধি ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ৪১ রানের জয়। নবম ট্রফির দিকে ভারত।