Asian Games 2023, Women’s Cricket: বল হাতে দেশকে সোনা দিলেন চুঁচুড়ার তিতাস সাধু!
Titas Sadhu: একের পর এক ধাপ পেরিয়ে ধীরে ধীরে তারকা হয়ে উঠছেন উনিশ বছরের মেয়ে। এশিয়ান গেমসের সাফল্য যে তাঁকে অনেক দূর এগিয়ে দেবে, নিজেও জানেন ভালো করে। হানঝাউ থেকে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন পরিবারের সঙ্গে। বিশ্বকাপ জিতে ফেরার পর গণসংবর্ধনা পেয়েছিলেন চুঁচুড়ায়। এশিয়ান গেমসের সোনার পদক তাই এ বার উৎসবে বদলে দেবে।
সিনিয়র টিমে এর আগে মেলেনি খেলার সুযোগ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেকও হয়ে গিয়েছে চুঁচুড়ার মেয়ের। নিরাশ একেবারেই করেননি। কিন্তু সোনার মঞ্চ যেন সাজিয়ে ছিলেন নিজেই। সুইং করাতে পারেন দু’দিকে। ঝলসে ওঠা অভ্যেস করে ফেলেছেন নতুন বল হাতে। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) মেয়েদের ক্রিকেটের (India vs Sri Lanka) ফাইনালে চমকে দিলেন সেই তিনিই। ভেজা পিচ। আর্দ্রতাও রয়েছে বাতাসে। তাই চমৎকার কাজে লাগালেন তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। ১৯ বছরের বাঙালি পেসার একাই শেষ করে দিলেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।
এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি সেই ২০১০ সালে। পরের এশিয়াডেও জায়গা পেয়েছিল ক্রিকেট। কিন্তু দু’বারই ভারতের ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট টিম এশিয়ান গেমসে পা রাখেনি। প্রথম বার গিয়েই সাফল্য মুঠোয় ধরে ফেললেন হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা। এশিয়ান গেমসে বাংলার আর এক প্রতিনিধি রয়েছেন। কিপার রিচা ঘোষ ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন। তবে বল হাতে চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স তিতাসের। দুই ওপেনার চামারি আতাপাত্তু, অনুষ্কা সঞ্জীবনীকে ফিরিয়ে শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন তিতাস। পর পরই ফিরিয়ে দিয়েছেন ভীষ্মী গুণরত্নেকে। ৩ ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ২ রান। নিজের প্রথম ওভার বল করতে এসেই প্রথম ও চতুর্থ বলে উইকেট নেন তিতাস। ঝুলিতে তিন রান ও ১ মেডেন। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেন সহ ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। সোনার ম্যাচে স্বপ্নের স্পেল তিতাসের, বললে কমই বলা হয়।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ থেকে উত্থান তিতাসের। ৬ উইকেট নিয়েছিলেন টুর্নামেন্টে। ভারত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। মেয়েদের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ফর্মেও ছিলেন। যে কারণে ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় এ টিমে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। নিরাশও করেননি তিতাস। নতুন বলে তাঁকে যে সিনিয়র টিমের ভাবনায় রাখা উচিত, নির্বাচকদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। টিমের সিনিয়র বোলার রেনুকা সিং চোটের কারণে এশিয়ান গেমসের টিমে জায়গা মেলে। সেই তিতাসই এখন চমকে দিচ্ছেন। বাবা রণদীপ সাধু মেয়েকে নিয়ে যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনই স্বপ্ন দেখছেন দুই কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও দেবদুলাল রায়চৌধুরী। চুঁচুড়ার মাঠে খেলেই বোলার হিসেবে উত্থান তিতাসের। বিদেশের মাটিতে নিজেকে প্রতি ম্যাচে প্রমাণ করছেন তিনি।
একের পর এক ধাপ পেরিয়ে ধীরে ধীরে তারকা হয়ে উঠছেন উনিশ বছরের মেয়ে। এশিয়ান গেমসের সাফল্য যে তাঁকে অনেক দূর এগিয়ে দেবে, নিজেও জানেন ভালো করে। হানঝাউ থেকে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন পরিবারের সঙ্গে। বিশ্বকাপ জিতে ফেরার পর গণসংবর্ধনা পেয়েছিলেন চুঁচুড়ায়। এশিয়ান গেমসের সোনার পদক তাই এ বার উৎসবে বদলে দেবে।