
বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মধ্যে বারুদ দেখেছিলেন তিনি। কোহলিকে আবিষ্কারও করেছিলেন তিনি। এই তিনি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দিলীপ বেঙ্গসরকার (Dilip Vengsarkar)। কাশীপুর-বেলগাছিয়া এমএলএ কাপের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন দিলীপ। কলকাতায় ওই অনুষ্ঠানে এসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার পারফর্ম্যান্স এবং বিরাট কোহলিকে নিয়ে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার প্রশংসা করে দিলীপ বলেন, “ভারতীয় দল দুর্দান্ত খেলছে। ব্যাটিং-বোলিং সব বিভাগেই দারুণ পারফর্ম্যান্স। বুমরার অনুপস্থিতিতেও প্রত্যেকে ভালো খেলছে। এগারো জনই দুর্দান্ত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট দারুণ ব্যাট করেছে। আমি আশা করি, ভারত চ্যাম্পিয়ন হবে।”
এরপরই বিরাট কোহলিকে নিয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়েন দিলীপ। তিনি বলেন, “বিরাট কোহলি অসাধারণ ক্রিকেটার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওর ইনিংস দেখে আবারও মুগ্ধ হয়েছি। লাল বল বা সাদা বল ফ্যাক্টর নয়। লাল বলে রানের মধ্যে না থাকলেও, ও ঠিক এই ফর্ম্যাটে রানে ফিরবে। আমি আশা রাখি। ওর মতো ক্রিকেটারের কাছে কাছে রানে ফেরাটা সময়ের অপেক্ষা।”
২০০৮ সালের আগে অবধি বিসিসিআইয়ের চিফ সিলেক্টর ছিলেন দিলীপ বেঙ্গসরকার। সেই সময় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে দিলীপ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিরাট কোহলিকে খেলতে দেখেছিলান। এরপর তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন, বিরাটকে সিনিয়র টিমে নেওয়া প্রয়োজন। পরে বড় প্লেয়ার হবেন বিরাট। এই বিশ্বাসও ছিল বেঙ্গসরকারের। আরও ভালো করে বললে, বিরাট কোহলিকে আবিষ্কার করেছিলেন দিলীপ। এরপর ২০০৮ সালে সিলেকশন কমিটির সদস্য বদলে যায়।
দিলীপের পর কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত নির্বাচক প্রধান হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে দিলীপ জানিয়েছিলেন, ২০০৮ সালে তাঁকে নির্বাচক প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছিল তিনি কোহলিকে সমর্থন করেছিলেন বলে। তবে হিরে চিনতে ভুল করেননি দিলীপ। তার প্রমাণ মাঠে বিরাটের ব্যাটে পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৮ সালে দিলীপ মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ২০০৮ সালে যুব বিশ্বকাপের পর তিনি চেয়েছিলেন বিরাটের জন্য সিনিয়র টিমের দরজা খুলুক। কিন্তু সেই সময় তাঁকে সরিয়ে কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত হন নির্বাচক প্রধান। এরপর সেই সময় যখন শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য টেস্ট ও ওডিআই টিম বাছা হচ্ছিল দিলীপ চেয়েছিলেন একদিনের ক্রিকেটে বিরাটের অভিষেক হোক। কিন্তু তখনকার ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কোচ গ্যারি কার্স্টেন তাতে রাজি হননি। পরে বিরাট ক্রিকেট বিশ্বে কার্যত রাজ করেছেন। আর তার সাক্ষী থেকেছেন সকলে।