কলকাতা: ভারতের কোটিপতি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএলের (IPL) জনপ্রিয়তা বরাবরই আকাশছোঁয়া। সেখানে খেলতে চান না এমন ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে বরাবরই একটা টক্করের চেষ্টা চলে পাকিস্তান সুপার লিগের। যদিও ক্রিকেট মহলের দাবি আইপিএলের ধারেকাছে যেতে পারেনি পিএসএল। এই পরিস্থিতিতে পাক ক্রিকেট বোর্ড পড়ল চাপে। এ বার ইংল্যান্ডের (England) ক্রিকেটারদের পিএসএলে (PSL) খেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। অবশ্য আইপিএলের জন্য ছাড়পত্র থাকছে।
ইসিবির নির্দেশে পিসিবি চাপে
একদিকে পঁচিশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে চাপে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তার মধ্যে টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসিবির পক্ষ থেকে সে দেশের ক্রিকেটারদের পিএসএলে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। যে সময় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম চলে, তখন কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনুমতি পাবেন না ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। আর ইংল্যান্ডে যখন ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম চলে, সেই সময় পাকিস্তানে হয় পিএসএল। কয়েক বছর ধরে ইংল্যান্ডের কিছু ক্রিকেটার সেই সময় পিএসএলে খেলতে যাচ্ছেন। যার ফলে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রভাব পড়ছে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের পিএসএলে খেলতে না পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে ক্ষতির মুখে পড়বে পিসিবি। কারণ, জনপ্রিয় মুখ না থাকলে ব্রডকাস্টরা বেঁকে বসতে পারে। সেই দিক থেকে দেখলে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। ক্রিকেট প্রেমীরা তারকা ক্রিকেটারদের দেখার জন্য পিএসএল দেখতে আসে। সেখানে জস বাটলার, ফিল সল্ট, জনি বেয়ারস্টোর মতো তারকাদের যদি পাক ক্রিকেট প্রেমীরা দেখতে না পান, তা হলে টুর্নামেন্টের টিকিট বিক্রি কমতে পারে।
হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন নিল ইসিবি? শোনা যাচ্ছে পিএসএল ছাড়া অন্য বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগে (আইপিএল ছাড়া) ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের খেলতে দিতে চায় না ইসিবি। আসলে, লাল বলের ক্রিকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা। আর তাই, ঘরোয়া ক্রিকেটের সময় কোনও ক্রিকেটারকে বিদেশে খেলতে যাওয়ার অনাপত্তিপত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। ইসিবির চিফ এক্সিকিউটিভ রিচার্ড গোল্ড বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দেশের ক্রিকেটের স্বার্থ রক্ষা করতে চাই। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ক্রিকেটের স্বার্থই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা সব দিক খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’