IND vs BAN Match Report: কঠিন পিচে শুভমনের সেঞ্চুরি, টাইগার বধ ভারতের
India vs Bangladesh in Champions Trophy 2025: এর থেকেই পরিষ্কার, কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিল ভাইস ক্যাপ্টেনও। দায়িত্ব পালন করলেন। শুরু থেকে শেষ, ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন শুভমন।

বোলাররা প্রাথমিক কাজটা করেছিলেন। যদিও চিন্তা ছিল পিচ। অক্ষর প্যাটেল ইনিংস ব্রেকে বলেছিলেন, এই পিচে ২২৯ সহজ টার্গেট। বল পুরনো হলেই খেলতে সুবিধা হবে। প্রত্যাশা ছিল, শিশিরেরও। সে সব কিছুই হল না। সময়ের সঙ্গে ব্যাটিং আরও কঠিন হল। বল থমকে আসছিল। বড় শট খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। শুভমন গিল ১২৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এটিই মন্থর সেঞ্চুরি। এর থেকেই পরিষ্কার, কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিল ভাইস ক্যাপ্টেনও। দায়িত্ব পালন করলেন। শুরু থেকে শেষ, ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন শুভমন। যদিও উইনিং শট লোকেশ রাহুলের ব্যাটে। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন রাহুল। ৬ উইকেটের জয়ে শুভ শুরু।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতের অভিজ্ঞ পেসার মহম্মদ সামি এবং তরুণ হর্ষিত রানার দাপটে দারুণ শুরু ভারতের। কিছুক্ষণের মধ্যে অক্ষর প্যাটেল আক্রমণে। জোড়া উইকেট ওভার। মাত্র ৩৫ রানেই বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট ফেলে দিয়েছিল ভারত। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেন জাকের আলি ও তৌহিদ হৃদয়। ওডিআই কেরিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তৌহিদ হৃদয়। সামির ফাইফারে ২২৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
টার্গেট ছোট মনে হতেই পারে। অন্তত শুভমন-রোহিত ওপেনিং জুটি ক্রিজে থাকার সময় তাই মনে হয়েছিল। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছিলেন ক্যাপ্টেন ও ভাইস ক্যাপ্টেন। কিন্তু রোহিত ফিরতেই খেলা মন্থর হয়। বিরাট কোহলি অ্যাঙ্কর করার চেষ্টা করেন। সেট হয়েও লেগস্পিনারের ফাঁদে বিরাট। শ্রেয়স, অক্ষর প্য়াটেল অল্প সময়ের ব্যবধানেই ফেরেন। লোকেশ রাহুল যোগ দেন শুভমনের সঙ্গে। ব্য়ক্তিগত ৯ রানে রাহুলের ক্য়াচ ফসকেছিলেন জাকের আলি। সেটাও টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। শুভমনের সঙ্গ দিলেন শেষ অবধি। ছয় মেরে ম্যাচও ফিনিশ করেন রাহুল। ৪৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বোলিংয়ে সামি, হর্ষিত, অক্ষর। ব্য়াট হাতে সেঞ্চুরিতে নায়ক শুভমন। ওডিআই কেরিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি। টানা দ্বিতীয়। কেরিয়ারে এখনও অবধি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরিও বলা যায়।
