ICC Chairman: সর্বোচ্চ পর্যায়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি সৌরভ-জয়!
একমাত্র শরদ পাওয়ার আইসিসির চেয়ারম্যান থাকার সময়ই দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হয়েছিল। ২০১১ সালের সেই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপেও আইসিসির চেয়ারম্যান পদে দেখা যেতে পারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা জয় শাহ-কে।
মুম্বই: বিসিসিআই থেকে এ বার আইসিসির (ICC) মঞ্চ। লড়াই এ বার বড় আসরে। বোর্ডের (BCCI) সভাপতি থেকে অতীতে আইসিসির মসনদে বসেছেন ভারতের অনেক বড় সড় কর্তারা। জগমোহন ডালমিয়া থেকে শশাঙ্ক মনোহর, অনেকেই আইসিসির মসনদে বসেছেন। এ বার সেই লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছেন খোদ বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) আর সচিব জয় শাহ। আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের মেয়াদ শীঘ্রই ফুরোচ্ছে। তিনি আর আইসিসির চেয়ারম্যান পদে থাকতেও চাইছেন না। এ বারে ভারতের তরফ থেকে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে বসার টার্মও রয়েছে। আর তাই লড়াইটা আরও জবরদস্ত হতে চলেছে। সামনের বছরই দেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আইসিসির চেয়ারম্যান পদে কোনও ভারতীয় থাকাকালীনই দেশের মাটিতে হতে পারে বিশ্বকাপ।
একমাত্র শরদ পাওয়ার আইসিসির চেয়ারম্যান থাকার সময়ই দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হয়েছিল। ২০১১ সালের সেই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপেও আইসিসির চেয়ারম্যান পদে দেখা যেতে পারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা জয় শাহ-কে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে সর্বনিম্ন ২ বছরের জন্য কেউ থাকতে পারেন। সর্বোচ্চ ৬ বছরের মেয়াদ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান পদে বসেন গ্রেগ বার্কলে।
নিউজিল্যান্ডের বার্কলে একজন পেশাদার আইনজীবী। কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি করে মনোনিবেশের জন্যই আইসিসির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে চান তিনি। এখনও পর্যন্ত ৪ ভারতীয় আইসিসির মসনদে বসেছেন। সেই তালিকায় আছেন জগমোহন ডালমিয়া (১৯৯৭-২০০০), শরদ পাওয়ার (২০১০-২০১২), নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন (২০১৪-২০১৫) ও শশাঙ্ক মনোহর (২০১৫-২০২০)।
বোর্ডের এক প্রভাবশালী কর্তা বলেন, সৌরভ যদি আইসিসির চেয়ারম্যান হতে চান, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়ার লড়াইয়ে জিততে হবে তাঁকে। কারণ, পাক বোর্ডের তরফ থেকে কেউ ভারতীয়দের সমর্থন করবে বলে মনে হয়না। সৌরভের পাশাপাশি জয় শাহ-ও সেই লড়াইয়ে প্রবল ভাবে রয়েছেন। জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সভা। আর সেখানেই বোঝা যাবে, আইসিসির চেয়ারম্যান পদে বসতে চলেছেন।