গ্রুপ পর্ব শেষ। এ বার সুপার এইটের পালা। ২০টি দল নিয়ে এ বারের বিশ্বকাপ। এখনও অবধি সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০টি দল থেকে পরবর্তী রাউন্ডে মাত্র আটটি দল। ট্রফির লড়াই এখনও অনেক দূর। সুপার এইটে ভারত অভিযান শুরু করবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। বছরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল ভারত। যদিও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর বিশ্বকাপের মঞ্চে এক পরিস্থিতি নয়। গত কালের মতো এ দিনও ঐচ্ছিক অনুশীলন রেখেছিল ভারতীয় দল। একজন ছাড়া টিম ইন্ডিয়ার সকলেই প্র্যাক্টিসে ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলন করেন সূর্য।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছে ঋষভ পন্থের। আইপিএলে নজর কেড়েছেন। বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও জায়গা পেয়েছেন পন্থ। ব্যাটিং অর্ডারে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া হয়েছে। এত দিন মিডল অর্ডারেই ব্যাট করতেন। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তিনে ব্যাট করেছেন পন্থ। ভারতের শেষ ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছিল। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল ভারত। আর তিন ম্যাচেই ভালো পারফর্ম করেছেন পন্থ। ক্য়ারিবিয়ানে দ্বিতীয় দিনের ঐচ্ছিক অনুশীলনে ছিলেন না ঋষভ পন্থ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। প্রথম দু-ম্যাচে সে ভাবে ভরসা দিতে পারেননি। তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন। সূর্য মূলত চারে ব্যাট করলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর আগে বাঁ হাতি ব্যাটার অক্ষরকে নামানো হয়েছিল। বিশ্বের এক নম্বর হওয়ায় প্রত্যাশার চাপও বেশি। তিনি ব্যাটিং পজিশন নয়, বরং অবদান রাখতেই মরিয়া।
সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য বলেন, ‘কেউ যদি দু-বছর ধরে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটারের জায়গা ধরে রাখে, তাঁর কখনও ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ভাবা উচিত নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। আমিও সেটাই চেষ্টা করি।’ নিউ ইয়র্কের পরিস্থিতি ব্যাটারদের জন্য অস্বস্তির ছিল। আমেরিকার বিরুদ্ধে সেই কঠিন পরিস্থিতিতেই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি।
সূর্য আরও বলছেন, ‘ওখানকার পিচে গতি ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে শট খেলতে সমস্যা হয়। প্রতিপক্ষ প্লেয়াররা আমার খেলা সম্পর্কে জানে। সুতরাং, আমাকেও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করতে হত। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে বদলাতে হয়। ধৈর্য ধরে পড়ে থাকতে হয়। এক ম্যাচে সেটা পেরেছি।’