টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশকে ক্লিনসুইপ করল ভারত। প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনে ভারতকে চ্যালেঞ্জ করেছিল বাংলাদেশ। সেটাই প্রথম এবং শেষ। পুরোপুরি একপেশে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৩৩ রানে হারাল ভারত। বোর্ডে ২৯৮ রানের টার্গেট থাকলে স্নায়ুর চাপে ভোগাই স্বাভাবিক। দু-বছর পর ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই সিরিজ বাংলাদেশ ক্রিকেটে সতর্কের ঘণ্টা, এমনটাই মনে করছেন তাদের কিংবদন্তি ব্যাটার তামিম ইকবাল। এই সিরিজে কোনওরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি, স্বীকার করে নিলেন তামিম। ঘরের মাঠে টানা সাতটি টি-টোয়েন্টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত।
সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় অর্শদীপ সিংকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। হর্ষিত রানা সুস্থ থাকলে হয়তো এই ম্যাচে অভিষেক হত। তবে অর্শদীপের জায়গায় সুযোগ পেলেন রবি বিষ্ণোই। সুযোগ ভরপুর কাজে লাগালেন। মেডেন উইকেট ওভার দিয়ে স্পেল শুরু করেন। সব মিলিয়ে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের হাফসেঞ্চুরিও করলেন লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই।
অর্শদীপ সিং না থাকায় নতুন বল তুলে দেওয়া হয় মায়াঙ্ক যাদবকে। ডেবিউ ম্যাচে ষষ্ঠ ওভার এবং গত ম্যাচে ইনিংসের মাঝপথে বোলিং পেয়েছিলেন। হায়দরাবাদে বোলিং ওপেন করলেন এবং প্রথম বলেই উইকেট! বোর্ডে রেকর্ড রান থাকলে এই অ্যাডভান্টেজ থাকেই। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকেন ভারতীয় বোলাররা। মায়াঙ্ক যাদব ২ উইকেট নেন। তবে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি তৌহিদ হৃদয়ের ইনিংস। ৪২ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। বাকি উল্লেখযোগ্য অবদান বলতে লিটন দাসের ২৫ বলে ৪২ রান।
বাংলাদেশ শিবিরে এটি আবেগের ম্যাচও ছিল। কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াধ। মায়াঙ্ক যাদবের বোলিংয়ে একটি বাউন্ডারিও মারেন। পরের বলটি লং অন বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। যদিও বল সোজা রিয়ান পরাগের হাতে। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব শুভেচ্ছা জানান মাহমুদুল্লাহকে। যদিও বাংলাদেশ জার্সিতে কেরিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩ রানে হারের ক্ষত নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল।