
পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-১ হবে লর্ডসেই। কিন্তু কার দিকে ম্যাচ ঝুঁকবে? এই প্রশ্নটা ভারতের ইনিংস শুরুর আগে আসেনি। প্রথম ইনিংসে দু-দলই ৩৮৭ রান করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৯২ রানেই অলআউট করে ভারত। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, ওয়াশিংটন সুন্দররা। লর্ডসে জিতে সিরিজ ২-১ এগিয়ে যেতে ভারতের প্রয়োজন ১৯৩ রান। ছোট টার্গেটই বলা যায়। কিন্তু ৪ উইকেট হারিয়ে আশার সঙ্গে যোগ হয়েছে আশঙ্কাও।
এই পিচে বাজ়বল যে সম্ভব নয়, প্রথম দিন থেকেই বোঝা গিয়েছে। মন্থর পিচ। অসমান বাউন্স। ইংল্য়ান্ডও তাই পুরনো ধাঁচের ব্যাটিংয়ে মন দিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুল সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন। ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাডেজারা সহযোগিতা করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও এখন বড় ভরসা সেই লোকেশ রাহুল।
লর্ডসে ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ৫৮ রান তুলেছে ভারত। ইনিংসের শুরুতেই হতাশা। অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে দায়সারা শটে আউট যশস্বী জয়সওয়াল। ক্রিস ওকসের ওভারে সাময়িক আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। কট অ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ। লোকেশ রাহুল সে সময় মাত্র ৫ রানে। যদিও নিজের বোলিংয়ে সেই ক্য়াচ নিতে পারেননি ওকস। রাহুল পরপর বাউন্ডারি মেরে জ্বালা বাড়ান ইংল্য়ান্ডের। কিন্তু উল্টোদিকে সমস্যা জারি।
প্রথম বার লর্ডসে খেলছেন ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল। অধিনায়ক হিসেবে যেমন প্রথম বার, তেমনই ব্যাটার হিসেবেও। ক্যাপ্টেন্সিতে নজর কেড়েছেন। ব্য়াট হাতে প্রথম ইনিংসে এসেছিল ১৬ রান। মনে করা হয়েছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে একটা স্মরণীয় ইনিংস খেলবেন। কিন্তু তা আর হল না। করুণ নায়ারের পর ক্যাপ্টেন শুভমন গিলও ফেরেন দ্রুতই। শুভমনের অবদান ৬ রান।
নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে পাঠানো হয় আকাশ দীপকে। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দিনটা কাটিয়ে দিতে পারবেন, এই ভরসা দেখা যাচ্ছিল আকাশ দীপের ব্য়াটে। কিন্তু দিনের শেষ ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে তাঁর উইকেট ছিটকে দেন বেন স্টোকস। ৫৮ রান তুললেও ৪ উইকেট হারিয়েছে ভারত। ক্রিজে সেট ব্য়াটার লোকেশ রাহুল। তিনি করেছেন ৩৩। ম্যাচের শেষ দিন ভারতের চাই আরও ১৩৫ রান। ব্যাটিং গভীরতা বলছে, এই রান সম্ভব। কিন্তু ভয়ও থাকছে। পঞ্চম দিনের পিচে ব্যাটিং আরও কঠিন হবে।