
ম্যাঞ্চেস্টারে একটা চমকে দেওয়া পরিসংখ্যান রয়েছে। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করা দল কোনওদিন জেতেনি। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস অবশ্য অবাক সিদ্ধান্ত নেন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋষভ পন্থ যেভাবে খেলছিলেন, তাতে মনে করা হয়েছিল বেন স্টোকস ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথম দিনের শেষে কোনওটাই বলা যাচ্ছে না। বিশেষ করে ভারতকে বড় চিন্তায় রাখল ঋষভ পন্থের চোট। ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলেছে ভারত। ক্রিজে রয়েছেন স্যার জাডেজা।
লর্ডস টেস্ট হতাশার কেটেছিল যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিলের। যশস্বী ঘুরে দাঁড়ালেন। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৯৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস রাহুলের। ৪৬ রানে ফেরেন তিনি। যশস্বী ৫৮ রান করে স্পিনার লিয়াম ডসনের শিকার। করুণ নায়ারের জায়গায় ফিরেছেন সাই সুদর্শন। কেরিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি এল সাইয়ের ব্যাটে। ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের সঙ্গে টাইটান্সে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখানেও দুর্দান্ত একটা জুটির ইঙ্গিত ছিল। যদিও শুভমনের আউটে হতাশা। বেন স্টোকসের বলে লেগ বিফোর শুভমন। মাত্র ১২ রান করেন।
সাই এবং পন্থ জুটি মজবুত হচ্ছিল। কিন্তু ছন্দপতন হয় পন্থের চোটে। ৩৭ রানে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন পন্থ। দ্বিতীয় দিন প্রয়োজনে ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন কি না, এই নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাঁকে দ্রুতই স্ক্যানের জন্য় নিয়ে যাওয়া হয়। হাফসেঞ্চুরি করা সাই অবশ্য আউটের ধরণে হতাশ করেন। টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য বড় গুণ। দোষও। কয়েকটি ডট বল হতেই কার্যত উইকেট উপহার দিয়ে আসেন সাই। লোয়ার ফুলটসে পুল করেন। ফিল্ডার রাখাই ছিল। ৬১ রানে ফেরেন সাই।
সিরিজে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হচ্ছে না। শার্দূলকে নিয়ে দিনের বাকি সময় আর কোনও সমস্যা তৈরি হতে দেননি। দু-জনেই ১৯ রানে ক্রিজে রয়েছেন।