
বিশ্বকাপ জিতে ২০২৪ সালেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের জার্সিকে বিদায় জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাডেজা। আইপিএলের মাঝপথে ইংল্যান্ড সফরের ঠিক আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান রোহিত শর্মা। ক্যাপ্টেনের পর বিরাট কোহলিরও একই সিদ্ধান্ত। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকেই পরিস্থিতি তাঁদের প্রতিকূলে ছিল। ফলে অবসরটা ইচ্ছাকৃত নাকি কোনও বার্তা ছিল, সেটা পরিষ্কার নয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে দু-জনেই রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছিলেন। ভাবনায় ইংল্যান্ড সফরের প্রস্তুতিও ছিল। অনেক বার সেটা বলেছেনও। তারপরও অবসর। নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় ক্রিকেটে পুরোপুরি প্রাক্তন হয়ে গেলেন না তো বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা?
ইংল্যান্ড সফরের আগে নানা আলোচনা ছিল। বিশেষত তিনটি বিষয়ে। ক্যাপ্টেন্সি, ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মার জায়গা পূরণ এবং তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরে কে। ক্যাপ্টেন হিসেবে শুভমন গিল ইংল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত এমন হয়তো বলা যায় না। তবে প্রথম সিরিজ হিসেবে তাঁকে নিয়ে খুব বেশি প্রশ্ন তোলারও জায়গা নেই। ব্যাটিংয়ের নিরিখে শুভমনের পারফরম্যান্স সাড়া জাগানোর মতোই। সিরিজে সাড়ে সাতশোর বেশি রান।
ওপেনিংয়ে লোকেশ রাহুল ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করেছেন। তেমনই যশস্বীও ভরসা দিয়েছেন। তিন নম্বর নিয়ে প্রশ্নটা থাকলেও চারে শুভমনের পারফরম্যান্স সেই জায়গা অনেকটাই ঢেকে দিয়েছে। এ বার যেটা প্রশ্ন, পরবর্তী ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ২০২৭ সালে। ততদিন অবধি কি বিরাট-রোহিতকে আদৌ সুযোগ দেওয়া হবে? আর বিশ্বকাপের ভাবনায়ই যদি না থাকেন, তা হলে বিরাট-রোহিতকে কেন খেলিয়ে যাওয়া হবে! পরিবর্তে তরুণদের সুযোগ দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা হতে পারে। সেই সম্ভাবনা কোনও ভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় ব্যাটিং ব্যর্থ হলে, তখন হয়তো এই সম্ভাবনা তৈরি হত না। কিন্তু ব্যাটিংয়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরে বিরাট-রোহিতের সুযোগের সম্ভাবনা কমছে।