
ম্যাচে নানা মোড়। কখনও মনে হয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণে, আবার কখনও নিয়ন্ত্রণে। ফাইনালে স্নায়ুর চাপ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। নিউজিল্যান্ড টস জিতে ব্যাটিং নেয়। এরপর তাঁদের ইনিংস যেন টেস্টের মতো। টেস্টে যেমন সেশনে রং বদলায়, এখানেও তাই। ভারতের চারটি ক্যাচ মিস নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা অ্যাডভান্টেজও দিয়েছে। তবে বরুণ চক্রবর্তী আক্রমণে আসতেই খেলার মোড় ঘুরতে শুরু করে। দুর্দান্ত বোলিং করেন কুলদীপ যাদবও। ফাইনালে বল হাতে কিছুটা যেন হতাশার বোলিং সামির। যদিও স্লগ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দেন সামিই। শেষ অবধি ভারতকে ২৫২ রানের টার্গেট দেয় নিউজিল্যান্ড।
পিচের চরিত্র বোঝা কঠিন। ফাইনালের পিচ দেখে মনে হয়েছিল ব্যাটারদের জন্য সহজ। আবার বরুণের বোলিংয়ের সময় মনে হয়েছে, খুবই কঠিন পিচ। শট খেলা মুশকিল। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে প্রায় ৭ রান রেটে ব্যাটিং করেছে নিউজিল্যান্ড। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই কুলদীপ ফেরান রাচিন রবীন্দ্রকে। সেখান থেকে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল ভারত। ড্যারেল মিচেল ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলে।
ভারতীয় ফিল্ডাররা সব মিলিয়ে এদিন চারটি ক্যাচ ফসকেছেন। সেটিও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ড্যারেল মিচেল ৩৮ রানে জীবন পান। তাঁকে স্লগ ওভারে ফেরান সামি। ততক্ষণে ৬৩ রানের অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেছেন। গ্লেন ফিলিপস তাঁর সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন। দলীয় ২১১ রানে ড্যারেল মিচেল ফিরতে মনে হয়েছিল, কিউয়িদের ২৪০ রানে আটকে দেওয়া সম্ভব। যদিও মাইকেল ব্রেসওয়েলের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে বড় স্কোর।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দুই পেসারই প্রচুর রান দিয়েছেন। তবে স্পিনাররা অনবদ্য। অক্ষর প্যাটেল উইকেট না পেলেও ইকোনমি খুব ভালো। ২টি করে উইকেট বরুণ ও কুলদীপের। জাডেজার ঝুলিতে ১ উইকেট।