শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এক ম্যাচে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলিধরনের। ৩০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। সেই রেকর্ড আশঙ্কায় ছিল। সৌজন্যে ৮ মাস পর ওয়ান ডে ক্রিকেটে ফেরা এক বোলার। শ্রীলঙ্কা এমনিতেই ব্যাকফুটে ছিল। তাদের প্রথম সারির পাঁচ পেসার চোটের কারণে ওয়ান ডে সিরিজ শুরুর আগেই ছিটকে যান। প্রথম ওয়ান ডে-তে চোট পেয়ে ছিটকে যান দলের প্রধান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গাও। পাওয়া যায়নি মহেশ থিকসানাকেও। এক পেসার কমিয়ে এবং হাসারঙ্গার পরিবর্তে কামিন্দু মেন্ডিস ও জেফরি ভ্যানডারসেকে একাদশে আনেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। সেটাই মাস্টারস্ট্রোক হয়ে দাঁড়ায়।
এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার জার্সিতে শেষ ওডিআই খেলেছিলেন জেফরি ভ্যানডারসে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এই মাঠেই ছিল সেই ম্যাচ। প্রত্যাবর্তনও হল এই মাঠেই। আর দুর্দান্ত শুরু। ৭ ওভারের স্পেলেই ৬ উইকেট! এই ম্যাচেও হয়তো খেলা হত না তাঁর। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা চোট পাওয়ায় দরজা খোলে এই লেগ স্পিনার ভ্যানডারসের। সুযোগটা দুর্দান্ত ভাবে কাজে লাগালেন। বোর্ডে ২৪১ রানের টার্গেট ছিল ভারতের। রোহিত শর্মা আউট হতেই ভারতীয় ইনিংসে আতঙ্কের শুরু।
রোহিত-শুভমন ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ৯৭ রান। রোহিত মাত্র ৪৪ বলে ৬৪ রানে ফেরেন। ভ্যানডারসের প্রথম শিকার ভারত অধিনায়কই। তবে রোহিত যে স্টাইলে খেলছিলেন তাতে ঝুঁকি থাকাই স্বাভাবিক। দ্রুত রান তুলে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল। ক্যাপ্টেন নিজের দায়িত্ব পালনও করেন। রোহিতের পরপরই ফেরেন ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমন গিলও। চারে নামানো হয় শিবম দুবে।
ভ্যানডারসে লেগ স্পিনার হওয়ায় বাঁ হাতি শিবমকে উপরে পাঠানো হয়। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ৪ বলে ০ রানেই ফেরেন। ভ্যানডারসে ৭ ওভারের স্পেলেই ৬ উইকেট নিয়ে ভারতের আশার ইতি ঘটান। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক পার্টটাইম স্পিনার আসালঙ্কা নেন তিন উইকেট। ৪৩তম ওভারে অর্শদীপের রান আউটে ২০৮ রানেই অলআউট ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচ টাই হয়েছিল। এ দিন জিতে ১-০ এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ভারতের কাছে ওডিআই সিরিজ জয়ের সুযোগ নেই।