টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। পরবর্তী বিশ্বকাপ ভারতের মাটিতে। অনেক আগেই তারও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই জিম্বাবোয়ে সফরে পাঠানো হয়েছিল ভারতের তরুণ দলকে। এরপর শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ভারত। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ক্লিনসুইপ করেছে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এ বার মিশন রেনবো নেশন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। সদ্য এমার্জিং এশিয়া কাপে নজরকাড়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের অলরাউন্ডার রমনদীপ সিং প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পেলেন। তেমনই আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে প্রোটিয়া সফরে পেসার বিজয়কুমার বিশাখও।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে ৮ নভেম্বর। প্রথম টি-টোয়েন্টি ডারবানে। এরপর ১০, ১৩ ও ১৫ নভেম্বর বাকি তিন ম্যাচ হবে যথাক্রমে বেরহা, সেঞ্চুরিয়ন এবং জোহানেসবার্গে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করা রাজধানী এক্সপ্রেস মায়াঙ্ক যাদবের ফের চোট। এ ছাড়াও চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জায়গা পাননি পেস বোলিং অলরাউন্ডার শিবম দুবেও। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (বিসিসিআই সেন্টার অব এক্সেলেন্স) রিহ্যাবে রয়েছেন রিয়ান পরাগ। তাঁদের ছাড়াই স্কোয়াড বেছে নেওয়া হয়েছে।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছিলেন কেকেআরের মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। প্রায় তিন বছর পর কামব্যাকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের স্কোয়াডেও জায়গা ধরে রেখেছেন। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে দল বেছে নেওয়া হয়েছে। এই সিরিজে অবশ্য সরকারি ভাবে কাউকে ভাইস ক্যাপ্টেন রাখা হয়নি। বাকি দল কার্যত প্রত্যাশিতই। প্রথম চয়েস কিপার সঞ্জু স্যামসন। ব্যাক আপ জীতেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াড: সূর্যকুমার যাদব (ক্যাপ্টেন), অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, তিলক ভার্মা, জীতেশ শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রমনদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, রবি বিষ্ণোই, অর্শদীপ সিং, বিজয়কুমার বিশাখ, আবেশ খান, যশ দয়াল।