
দিল্লি ক্যাপিটালসকে কি নিখুঁত বলা যায়? কোনও টিমই নিখুঁত নয়। তেমনই দিল্লি ক্যাপিটালসও। কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুমে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে দিল্লি। সে কারণেই তাদের উপর প্রত্যাশাও বেশি। আইপিএলে ট্রফির স্বাদ পায়নি দিল্লি। এ বার কি সেই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে? অনেকটা পথ বাকি। দিল্লির দৌড় কতটা অবধি তা সময়ই বলবে। আপাতত তাদের চ্যালেঞ্জ, জয়ের ধারা বজায় রাখা। আজ অ্যাওয়ে ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী গুজরাট টাইটান্স।
আইপিএল অভিষেক ২০২২ সালে। অভিষেক মরসুমেই চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাট টাইটান্স। পরের মরসুমে এক বলের ‘হেরফের’। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। গত মরসুম হতাশার কেটেছিল গুজরাট টাইটান্সের। এর নানা কারণও ছিল। এবারের মরসুমে এখনও অবধি সঠিক পথেই গুজরাট টাইটান্স। গত ম্যাচে হারলেও তা খুবই ক্লোজ ছিল। ছয় ম্যাচ খেলে ৪টিই জিতেছে। মরসুমের শুরু থেকে টাইটান্সের মিডল অর্ডার নিয়ে কিছুটা চিন্তা ছিল। হাতে গোনা ম্যাচেই মিডল অর্ডারে চাপ পড়েছে। বোলিংয়েও দুর্দান্ত। গত ম্যাচে হারায় ঘরের মাঠে বাড়তি তাগিদ নিয়ে নামবে টাইটান্স।
দিল্লি ক্য়াপিটালস কিংবা গুজরাট টাইটান্স, দু-দলের কম্বিনেশনেই বদলের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুজরাট টাইটান্সের জন্য় ইতিবাচক দিক, কাগিসো রাবাডা ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফেরার পরও তাদের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা দেয়নি। রশিদ খানও ফর্মে ফিরেছেন অনেকটাই। শুরুর দিকে হতাশ করছিলেন। তেমনই প্রসিধ কৃষ্ণরাও দুর্দান্ত বোলিং করছেন।
গুজরাট টাইটান্সের সম্ভাব্য দ্বাদশ: শুভমন গিল, সাই সুদর্শন, জস বাটলার, শেরফান রাদারফোর্ড, শাহরুখ খান, ওয়াশিংটন সুন্দর, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, আর্শাদ খান, সাই কিশোর, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ
দিল্লি ক্যাপিটালস সম্ভাব্য দ্বাদশ: ফাফ ডুপ্লেসি/জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক, অভিষেক পোড়েল, করুণ নায়ার, লোকেশ রাহুল, ত্রিস্তান স্টাবস, অক্ষর প্য়াটেল, আশুতোষ শর্মা, বিপরাজ নিগম, মিচেল স্টার্ক, কুলদীপ যাদব, মোহিত শর্মা, মুকেশ কুমার