IPL 2025, Virat Kohli: কোহলি কো চেজ পসন্দ হ্যায়! এক ম্যাচ, একঝাঁক বিরাট মুহূর্ত…
Delhi Capitals vs Royal Challengers Bengaluru: বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি থেকে ফিরে রঞ্জি ট্রফির একটি ম্যাচে খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভিড় ঠেকাতে হিমসিম খেয়েছিল দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। আইপিএলে বিরাটের ম্যাচ ঘিরে স্পেশাল আকর্ষণ আরও ছিল।

গত কয়েক দিন ধরেই অপেক্ষা ছিল ‘জবাবের’। শুধু টিম হিসেবেই নয়, বিরাট কোহলির সেলিব্রেশন। রবিবার বিকেল থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নামছেন বিরাট কোহলি। আর এই মাঠে বিরাট নামা মানেই গ্যালারি তাঁর দখলে এ আর নতুন কী! বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি থেকে ফিরে রঞ্জি ট্রফির একটি ম্যাচে খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভিড় ঠেকাতে হিমসিম খেয়েছিল দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। আইপিএলে বিরাটের ম্যাচ ঘিরে স্পেশাল আকর্ষণ আরও ছিল।
আরসিবির ঘরের মাঠ অর্থাৎ বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে জিতেছিল দিল্লি ক্যাপিটাল। বেঙ্গালুরুর ছেলে লোকেশ রাহুল খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে। আর দিল্লির ছেলে বিরাট কোহলি সেই ২০০৮ থেকেই খেলছেন আরসিবিতে। বেঙ্গালুরুর মাঠে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর সেলিব্রেশনে লোকেশ রাহুল বার্তা দিয়েছিলেন, এই মাঠ আমার। বিরাটের থেকে যে বড়রকমের সেলিব্রেশন দেখা যাবে দিল্লির মাঠে, এমন অনুমানই করা হচ্ছিল। রান তাড়ায় দুর্দান্ত ইনিংস। কিন্তু অপরাজিত থাকতে পারেননি। তাই সেই অর্থে স্পেশাল কোনও সেলিব্রেশন দেখা যায়নি বিরাটের থেকে। তবে জবাবটা দর্শকরাই দিয়েছিলেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই গ্যালারিতে প্রচুর সমর্থকের হাতে প্ল্যাকার্ড। যেখানে বিরাট কোহলির হয়ে লেখা, এই মাঠ আমার। সেলিব্রেশনে বা মুখে কিছু না বললেও পারফরম্যান্সে বিরাট সেটাই দেখিয়েছেন। ২০১৬ সালের আইপিএলের পর এ বার হাফসেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক। সব মিলিয়ে মরসুমের ছ নম্বর হাফসেঞ্চুরি। এই ম্যাচে রান তাড়ায় নেমে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল আরসিবি। কঠিন পিচে ৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি বিরাটের। উল্টোদিক থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। মরসুমের সপ্তম জয়ে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থানেও জায়গা করে নিয়েছে আরসিবি।
ম্যাচ শেষে কিং কোহলি বলেন, ‘দুর্দান্ত জয়। এই পিচে রান তোলা সহজ ছিল না। ৩ উইকেট হারানোর পর একটু চাপে ছিলাম। তবে ক্রুনাল দুর্দান্ত খেলেছে।’ রান তাড়ায় কোন পরিকল্পনায় এগোন চেজমাস্টার? বিরাট বলেন, ‘কোন বোলারদের ওভার বাকি, কারা চাপে ফেলতে পারে। এ সব মাথায় থাকে। স্ট্রাইক রোটেট করা খুবই জরুরি। অনেকেই হয়তো টি-টোয়েন্টিতে পার্টনারশিপের ভূমিকা ভুলে গিয়েছে। আমি ভুলিনি। সিঙ্গল, ডাবলেও স্ট্রাইক রোটেট করা যায়। শুধু মাত্র বড় শট খেললেই হয় না।’
বিরাটের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন ক্রুনাল। বিরাটের কথায়, ‘ক্রুনাল আমাকে বলছিল, তুমি থাকো, আমি মারছি। জয়ের এই ছন্দটা ধরে রাখতে হবে। আমাদের ব্যাটিং গভীরতা খুবই ভালো। টিম ডেভিডের পর রোমারিও থাকছে। মিডল অর্ডারে রজত, জীতেশ রয়েছে। চাপের মুখে ক্রুনাল দুর্দান্ত ইনিংস খেলল।’
