
সফ্ট হ্যান্ড। ক্রিকেটে এই টার্ম অনেকের কাছেই পরিচিত। সেটা ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়, আবার ক্যাচিংয়েও। ব্যাটিংয়ে অন্তত টি-টোয়েন্টিতে সফ্ট হ্যান্ডের প্রয়োগ হয় না বললেই চলে। কিন্তু ক্যাচিংয়ের ক্ষেত্রে সব ফরম্যাটেই। যাঁদের সফ্ট হ্য়ান্ড ভালো, তাঁদের সেফ হ্যান্ডসও বলা যায়। তাঁদের হাত থেকে ক্যাচ ফসকানো মানে বিরল দৃশ্য। কঠিন ক্যাচও দেখে মনে হয় সহজ। বর্তমান ভারতীয় দলের কথা বললে, কিং কোহলি, রবীন্দ্র জাডেজার পাশাপাশি রিঙ্কু সিংকেও জুড়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আইপিএলে সংখ্যায় কারা রয়েছেন এই সেফ হ্যান্ডসের তালিকায়?
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ বিরাট কোহলিরই। আইপিএলের জন্মলগ্ন অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকেই খেলছেন বিরাট কোহলি। শুধু তাই নয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বা বলা ভালো একটাই টিমের হয়ে খেলছেন। ঘরের মাঠে গত ম্যাচে একটি ক্যাচ ফসকেছিল। যা অবাক করেছিল সকলকেই। এখনও অবধি আইপিএলে ১১৭টি ক্যাচ নিয়েছেন কিং কোহলি। এর মধ্যে অবিশ্বাস্য কিছু ক্যাচও রয়েছে।
কিং কোহলির পরই রয়েছেন সুরেশ রায়না। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের সাফল্যের নেপথ্যে বড় অবদান রয়েছে দুর্দান্ত ফিল্ডার সুরেশ রায়নার। আইপিএলে ২০৫ ম্যাচে ১০৯টি ক্যাচ নিয়েছেন দেশের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার।
আর শুরুতেই যাঁর কথা বলা হয়েছিল, সেই রবীন্দ্র জাডেজাও রয়েছেন এই তালিকায়। চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম সম্পদ। খুব তাড়াতাড়িই সুরেশ রায়নাকে ক্যাচের সংখ্যায় ছাপিয়ে যেতে পারেন জাডেজা। এখনও অবধি ২৫২ ম্যাচে ১০৮টি ক্যাচ নিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের এই অলরাউন্ডার।
চতুর্থ স্থানে রয়েছেন এক ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। যিনি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সাফল্য়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। এখন মুম্বইয়ের কোচিং টিমে যুক্ত। তাঁকে যে সেফ হ্যান্ডস বলা যায় তা নয়। তবে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে জুরি মেলা ভার। বিশেষ করে বাউন্ডারি লাইনে এমন এমন কিছু ক্যাচ নিয়েছেন যা আজও তরুণ ক্রিকেটারদের উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়। কায়রন পোলার্ড। আইপিএলের ইতিহাসে ১৮৯ ম্যাচে ১০৩টি ক্যাচ নিয়েছেন। সবই মুম্বই জার্সিতে।
টপ ফাইভে এরপর যিনি রয়েছেন, তাঁকে সেরা ফিল্ডারদের তালিকায় রাখতে চান না অনেকেই। তাঁর ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অথচ তাঁর ফিল্ডিং দলকে অনেক সময়ই বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে। আইপিএলে এখনও অবধি ১০২টি ক্যাচ নিয়েছেন কিংবদন্তি রোহিত শর্মা। কায়রন পোলার্ডকে ছাপিয়ে যাওয়া যেন সময়ের অপেক্ষা। যদিও এবারের আইপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচেই শুধুমাত্র ব্যাটিংয়ে নামছেন রোহিত। ফিল্ডিংয়ে খুব সামান্য দেখা গিয়েছে। নয়তো পোলার্ডের সংখ্যাটা হয়তো পেরিয়ে যেতেন।