
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ট্র্যাডিশন এখনও অবধি বজায় রেখেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রতি মরসুমেই দেখা যায়, শুরুটা খুবই খারাপ হয় তাদের। এরপর পিক আপ নিয়ে ট্রফি। সাধারণত এই চিত্রটাই দেখা যেত। গত কয়েকটি মরসুমে অবশ্য তরুণ ক্রিকেটারদের দিকে ইনভেস্টে নজর দিয়েছিল মুম্বই। ফলে খারাপ শুরু থেকে ট্রফিতে একটু বিরতি পড়েছিল। এ বার ছয় নম্বর ট্রফি আসছে? দিল্লি যদিও অনেক দূর। আপাতত হায়দরাবাদেই নজর। জয়ের হ্যাটট্রিকের পর আজ হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
ঘরের মাঠে ম্যাচ। সানরাইজার্সের কাছে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জায়গা খুবই ক্ষীণ। প্রথমত, পয়েন্ট টেবলে খাদের কিনারায় তারা। দ্বিতীয়ত, ধারাবাহিকতা একেবারেই নেই। প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছিল সানরাইজার্স। শেষ ম্যাচটা তারা খেলেছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই। ওয়াংখেড়েতে প্রথম ওভারেই জোড়া ক্যাচ মিস হয়। সেই সুযোগটা কিন্তু পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি সানরাইজার্স। মুম্বইয়ের কাছে হেরেছে। আজ বদলার পালা। কিন্তু পিচ কেমন হবে, এটাও যেন আকর্ষণ।
হায়দরাবাদের হোম ম্যাচে সাধারণত ব্যাটিং পিচই দেখা যায়। কিন্তু মাঝে দেখা গিয়েছিল মন্থর পিচও। যার ফলে সমস্য়ায় পড়েছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররাই। আর এ বার শাঁখের করাতের মতো পরিস্থিতি। মন্থর পিচ করলে নিজেদের ব্য়াটাররা সমস্যায় পড়বে, আর ব্যাটিং পিচ হলে আতঙ্ক হিটম্যান। মুম্বই টিম এমনিতেই ভয়ঙ্কর। রোহিত শর্মা ফর্মে ফেরায় মুম্বইয়ের চেহারা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। হায়দরাবাদের কাছে প্রথম আতঙ্ক হিটম্যানই। আর মুম্বইয়ের বাকি ব্যাটাররা তো ছন্দে ছিলেনই। কী হতে পারে দু-দলের কম্বিনেশন?
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সম্ভাব্য দ্বাদশ: ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, ঈশান কিষাণ, নীতীশ কুমার রেড্ডি, হেনরিখ ক্লাসেন, অনিকেত ভার্মা, অভিনব মনোহর/অথর্ব তাইডে, প্যাট কামিন্স, হর্ষল প্যাটেল, মহম্মদ সামি, জিশান আনসারি, ঈশান মালিঙ্গা
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সম্ভাব্য দ্বাদশ: রোহিত শর্মা, রায়ান রিকলটন, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, নমন ধির, উইল জ্যাকস, মিচেল স্যান্টনার, দীপক চাহার, ট্রেন্ট বোল্ট, জসপ্রীত বুমরা, অশ্বিনী কুমার/বিগ্নেশ পুথুর