ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে দামি ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ আগের দিন হতাশ করেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই চাপ ছিল শ্রেয়স আইয়ারের উপরও। তাঁকেও প্রায় ২৭ কোটিতে নিয়েছে পঞ্জাব কিংস। নেতৃত্বও তাঁর কাঁধেই। চাপ কাটিয়ে দুর্দান্ত শুরু। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংস। ক্যাপ্টেন্সিতেও ভরসা দিলেন গত বার কেকেআর-কে ট্রফি দেওয়া শ্রেয়স আইয়ার। গুজরাটের মাঠে ১১ রানের জয় পঞ্জাব কিংসের।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন জস বাটলার। দীর্ঘ সময় খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালসে। আরও ভালো করে বললে, জস বাটলার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ওপেনার। অথচ তাঁকে দিয়ে ওপেনই করালেন না শুভমন গিল! গত মরসুমেই টাইটান্সের নেতৃত্ব পেয়েছেন শুভমন। সে সময় নতুন ছিলেন। তবে এখন তাঁকে আর নতুন ক্যাপ্টেন বলা যায় না। জাতীয় দলকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওয়ান ডে-তে রোহিত শর্মার ডেপুটি ছিলেন। পরিণত হতে যে আরও সময় লাগবে, শুভমনের ক্যাপ্টেন্সিতে পরিষ্কার।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শুভমন। ব্যাটিং পিচে যা ভুল সিদ্ধান্ত বলা যায়। শিশিরের প্রভাব প্রচণ্ড থাকে বলে এমন সিদ্ধান্ত, টসে জানিয়েছিলেন টাইটান্স ক্য়াপ্টেন। যদিও তেমনটা দেখা গেল না। প্রথমে ব্যাট করে টাইটান্সকে ২৪৪ রানের বড় টার্গেট দেয় পঞ্জাব। ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তনে হয়তো অস্বস্তিতে ছিলেন বাটলার। সাই সুদর্শন ও বাটলার দলকে টেনেছেন। বাটলার আউট হতেই চাপ বাড়ে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শেরফান রাদারফোর্ডকে নামান শুভমন।
শেষ ওভারে টাইটান্সের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। যদিও টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট অর্শদীপ সিংয়ের বোলিংয়ে তা তোলা সহজ ছিল না। রিঙ্কু সিং হয়ে উঠতে হত শেরফান রাদারফোর্ডকে। প্রথম বলেই তাঁর ড্রাইভ মিস হয়। বল অর্শদীপের দিকে। অর্শদীপের হাতে লেগে উইকেটে। নন স্ট্রাইকার রাহুল তেওয়াটিয়া ক্রিজের বাইরে থাকায় রান আউট। যোগ দেন শাহরুখ খান। রাদারফোর্ডের উইকেট নিয়ে কার্যত জয় নিশ্চিত করেন। শেষ বলে ছয় মেরে হারের ব্যবধান কিছুটা কমান শাহরুখ খান।