
কলকাতা: মুসকুরায়ে আপ লখনউ ম্যায় হ্যায়… আজ এ কথাই বলছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্রিকেটাররা। ঘরের মাঠে দারুণ জয়। অনেক দিন পর হাড্ডাহাড্ডি একটা আইপিএল (IPL) ম্যাচের সাক্ষী রইলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। শুভমন গিলের গুজরাট টাইটান্সকে (GT) ৬ উইকেটে হারাল ঋষভ পন্থের লখনউ (LSG)। একানায় মাঝে মাঝে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকল ম্যাচের ভাগ্য। শেষ মেশ আয়ুষের ব্যাটে এল উইনিং শট।
একানায় টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পন্থ। ৬ উইকেটে ১৮০ রান তোলেন গিলরা। ওপেনিং জুটি ছিল জমজমাট। লখনউয়ের বোলারদের এই জুটি ভাঙতে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছিল। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে আবেশ অবশেষে তোলেন গিলের উইকেট। ৩৮ বলে ৬০ রানের ইনিংস গিলের। পরের ওভারেই সাইকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। ৫৬ রানের সুদর্শন ইনিংস সাইয়ের। ২টি করে উইকেট তোলেন শার্দূল, রবি। ১টি করে উইকেট দিগ্বেশ ও আবেশের।
১৮১ রানের টার্গেট যখন তাড়া করতে নামল লখনউ, সেই সময় দেখা গেল চমক। কারণ ওপেনিং জুটিতে আজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লখনউ। খোদ অধিনায়ক নামেন ওপেনিংয়ে। এই সিদ্ধান্ত বেশ সাহসী বলতে হয়। কারণ যে সময় তিনি ৬ রানে ছিলেন, সুযোগ ছিল গুজরাটের কাছে তাঁর উইকেট তোলার। লেগসাইডে ক্যাচের সুযোগ ছিল। জস বাটলার ভালো করে বল ধরতে পারেননি। বোলিংয়ে ছিলেন সিরাজ। প্রচণ্ড রেগে যান। এরপর পন্থের ইনিংস খুব লম্বা হয়নি। ১৮ বলে ২১ রানে ফেরেন লখনউ অধিনায়ক।
পন্থ মাঠ ছাড়ার পর এইডেন মার্কব়্যামের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নিকোলাস পুরান। ১২তম ওভারে মার্কব়্যামের উইকেট তুলে নেন প্রসিধ। ৫৮ রানের ইনিংস উপহার দেন প্রোটিয়া তারকা। পুরান ৩৪ বলে ৬১ রান করেন। শেষ বেলায় আয়ুষ বাদোনি জুটি বাঁধেন ডেভিড মিলার, আব্দুল সামাদের সঙ্গে। শেষ ওভারে লখনউয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ রান। বোলিংয়ে আসেন সাই কিশোর। প্রথম ডেলিভারিতে আব্দুল সিঙ্গল নেন। পরের দুই ডেলিভারিতে আয়ুষ মারেন একটি বাউন্ডারি ও একটি ছয়। ৩ বল বাকি থাকতেই লখনউয়ের ম্যাচ জয়। পন্থ রানের পথে ফিরলেন না। কিন্তু লখনউয়ের জয়ের হ্যাটট্রিক হয়েছে।