
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এই মরসুম চূড়ান্ত রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে। ১০ দলের টুর্নামেন্ট। ৫৪টা ম্যাচ হয়ে গেল। এখনও অবধি প্লে-অফে নিশ্চিত নয় কোনও দলই। দুটি দল চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালস ছিটকে গিয়েছে, এটুকু শুধু নিশ্চিত। অন্যান্য বার ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়া মানে সরকারি ভাবেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত। এ বার পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থাকলেও, প্লে-অফ সরকারি ভাবে নিশ্চিত নয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ধরমশালায় লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে টেবলে দুইয়ে উঠে এল পঞ্জাব কিংস।
দুরন্ত ছন্দে রয়েছে পঞ্জাব কিংস। ইডেনে বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেও চেন্নাইয়ের মাঠে দুরন্ত ছয় ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় হোমগ্রাউন্ড ধরমশালায়ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য লখনউ সুপার জায়ান্টসের ফিল্ডিংয়েরও। শুরুতে প্রিয়াংশ আর্যকে ফিরিয়ে একটা ধাক্কা দিয়েছিল লখনউ। জস ইংলিশ ক্যামিও ইনিংস খেলে ফেরেন। কিন্তু আর এক ওপেনার ক্যাচ ফসকেই ম্যাচটাও যেন তখনই হাতছাড়া হয় লখনউয়ের। সেই প্রভসিমরন ৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ২৫ বলে ৪৫ এবং শশাঙ্ক সিংয়ের ১৫ বলে ৩৩ রানের ঝড়। ২০ ওভারে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান তোলে পঞ্জাব কিংস।
বোর্ডে এত্ত বড় টার্গেট। এর জন্য় টপ থ্রি-র ভালো পারফর্ম করা জরুরি। লখনউ শিবিরে শুরু থেকে সেটাই করে আসছিলেন মার্কব়্যাম, মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান। এ দিন তিন জনকে শুরুতেই ফেরান অর্শদীপ সিং। সেখানেই কার্যত যাবতীয় আশা শেষ লখনউয়ের। তাদের মিডল অর্ডারের হাল সকলেরই জানা। ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ ফের ব্যাট হাতে ব্য়র্থ। কিছুটা আশার আলো দেখান আয়ুষ বাদোনি ও আব্দুল সামাদ। আয়ুষ ৪০ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। সামাদ ২৪ বলে ৪৫। তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে পঞ্জাব।