
ঘরে বিড়াল, বাইরে বাঘ! ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নতুন মরসুমে কি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে তাই বলা যায়? পরিস্থিতি যেন তেমনই। আইপিএলের ১৮তম সংস্করণে ঘরের মাঠে এখনও অবধি তিনটি ম্যাচ খেলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। হতাশার পরিসংখ্যান। তিন ম্যাচেই হার। অথচ অ্যাওয়ে ম্য়াচে সব কটিই জয়। ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল আরসিবি। অথচ একদিনের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে সেই পঞ্জাব কিংসকে সহজেই হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওই যে, ঘরে বিড়াল, বাইরে বাঘ!
ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ! পঞ্জাব কিংসের মুল্লানপুর পর্ব শেষ। পরবর্তী হোম ম্যাচগুলি তারা খেলবে ধরমশালা স্টেডিয়ামে। এ দিন টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার। পাওয়ার প্লে-র শেষ দিক থেকেই স্পিনারদের দাপট। পঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন সিংকে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। প্রভসিমরন ১৭ বলে ৩৩ রান করে। ক্রুনালের পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেন সূয়াশ শর্মাও। শেষ দিকে শশাঙ্ক সিং ও মার্কো জানসেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে পঞ্জাব কিংস। ক্রুনাল ও সূয়াশ দুটি করে উইকেট নেন।
বোর্ডে অল্প রানের পুঁজি। তবে আরসিবির ব্যাটিং লাইন আপ যে ভাবে সমস্যায় ফেলেছে, তাতে আতঙ্ক ছিলই। শুরুতেই ফিল সল্টের উইকেট হারায় আরসিবি। বিরাট কোহলি তাড়াহুড়ো করেননি। একটি সাজানো-গোছানো অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলার লক্ষ্য নিয়েই যেন নেমেছিলেন। দেবদত্ত পাড়িক্কলের সঙ্গে দৌড়ে ৪ রানও নেন। দেবদত্ত পাড়িক্কল মাত্র ৩৫ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। যদিও ম্যাচটা ফিনিশ করে আসতে পারেননি। ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারও ১৩ বলে ১২ রানে ফেরেন। তবে বিরাট কোহলির ৫৪ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস এবং জীতেশ ৮ বলে ১১ রান করেন। ৭ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয়।