কলকাতা: সময়, পরিস্থিতি মানুষকে বদলে দেয়। এ কথা নিজের জীবন থেকে অনেকেই উপলব্ধি করেন। যেমনটা করেছেন ঝড়খণ্ডের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। দীর্ঘদিন ২২ গজ থেকে দূরে ছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে তাঁকে খেলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল বোর্ড। তিনি সেই নির্দেশ মানেননি। এরপর বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়েন ঈশান। এখন তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ভারত-এ দলের সঙ্গে রয়েছেন। দিনদুয়েক পর আইপিএলের রিটেনশন তালিকা প্রকাশ হবে। তার আগে হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিম নিয়ে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন ঈশান।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে নিজের সমীকরণ নিয়ে ঈশান বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা হয়। আমি মনে করি সকলে আবার এমন ভাববে না। আমি মনে করি নিজে যথেষ্ট ভাগ্যবান। আমার চিন্তাভাবনা খুবই বাস্তব। আমি খুব প্র্যাক্টিক্যালি ভাবি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে আমি অনেকটা সময় কাটিয়েছি। ও খুব প্র্যাক্টিক্যাল মানুষ। কিছু চাই তো সেটাই চাই। সবকিছুর জন্য কান্নাকাটি করলে হয় না। আমিও তেমন ভাবতে শুরু করেছি।’
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমে খেলার সুবাদে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে বন্ডিং আরও মজবুত হয়েছে ঈশানের। তাঁর কথায়, ‘অনেক অল্প বয়সে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আমাকে নিয়েছিল। আমার আর হার্দিকের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। তাই আমি জানি ও কী ভাবে ভাবে। এবং এ চায় আমি যেন দারুণ প্লেয়ার হয়ে উঠতে পারি। ও আমার সঙ্গে অনেক আইডিয়া শেয়ার করে। আমি এখন প্র্যাক্টিক্যাল জোনে রয়েছি। যদি আউটও হয়ে যাই, আমি ভাবি না যে এটা কি হল? আমি এ বার পরের ম্যাচে কী ভাবে পারফর্ম করব? মাঝামাঝি অবস্থান খুঁজে বের করতে হবে, যাতে সেঞ্চুরি করলেও ধীর স্থির থাকতে পারি। আবার আউট হয়ে গেলেও যেন চাপে না পড়ি। সেই সঠিক সমতাটা খুঁজে বের করাই আসল।’
ঈশানের মধ্যে দারুণ ক্রিকেটার হয়ে ওঠার সম্ভবনা দেখেন হার্দিক। এই প্রসঙ্গে ঈশান বলেন, ‘হার্দিকের মতো মানুষ আমার সঙ্গে আছে বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। ও অনেক কিছু বলে আমাকে। ক্রিকেটে এমন অনেক সময় আসে, যখন শুধু আমি নই অন্য ক্রিকেটারদেরও খারাপ সময় যায়। কিন্তু একবার ওই সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে নিতে পারলে চাপ হয় না। দক্ষতা সব জায়গায় রয়েছে। মানসিক অবস্থাও ঠিক রাখা দরকার। কঠিন সময় কী ভাবে কাটিয়ে দেওয়া যায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি নিজের এই কেরিয়ারে একটা সুস্থ অবস্থানে থাকতে পেরে ভাগ্যবান মনে করি।’