Rinku Singh: সদাহাস্য রিঙ্কু যে ভাবে ‘লর্ড রিঙ্কু’ হলেন… শুনুন নাইট তারকার জবানিতে

Aug 06, 2024 | 10:14 AM

KKR, IPL: কেকেআরের জার্সিতে প্রথম জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আলিগড়ের ছেলে রিঙ্কু সিং। কঠোর পরিশ্রম করেন আলিগড়ের ছেলে। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সকলের মনে জায়গাও করে নিয়েছেন। ধীরে ধীরে জাতীয় দলেও তিনি অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।

Rinku Singh: সদাহাস্য রিঙ্কু যে ভাবে লর্ড রিঙ্কু হলেন... শুনুন নাইট তারকার জবানিতে
সদাহাস্য রিঙ্কু যে ভাবে 'লর্ড রিঙ্কু' হলেন... শুনুন নাইট তারকার জবানিতে
Image Credit source: X

Follow Us

কলকাতা: রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh) যদি ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয় বলা হয়, তা হলে খুব ভুল বলা হবে না। সাদামাটা একটা ছেলে, তাঁর জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। সদাহাস্য রিঙ্কু সিংয়ের জীবনটা কয়েক বছর আগে এতটা খুশির ছিল না। অনেক কষ্ট করে ২২ গজে নিজের জায়গা শক্ত করছেন। কেকেআরের (KKR) জার্সিতে প্রথম জনপ্রিয়তা পেয়েছেন রিঙ্কু সিং। কঠোর পরিশ্রম করেন আলিগড়ের ছেলে। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সকলের মনে জায়গাও করে নিয়েছেন। ধীরে ধীরে জাতীয় দলেও তিনি অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। কয়েক বছর আগেও তাঁকে কেকেআরের এক ব্যাক আপ প্লেয়ার হিসেবে দেখত ক্রিকেট মহল। সেখান থেকে তিনি পরবর্তীতে হয়ে উঠেছেন, ‘লর্ড রিঙ্কু’, ‘দ্য রিঙ্কু সিং’— কী ভাবে তিনি এই জায়গায় পৌঁছলেন, শুনুন তাঁরই এক নাইট টিমের সতীর্থর জবানিতে…

কয়েকদিন আগে এক পডকাস্টে রিঙ্কু সিংকে নিয়ে কিছু কথা জানিয়েছিলেন কেকেআরের তরুণ বোলার হর্ষিত রানা। সেখানে তাঁর সামনে প্রশ্ন রাখা হয়, এক ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি কি প্লেয়ার তৈরি করতেও পারে? কয়েক বছর আগে ফিরে গেলে দেখা যাবে, ৮০ লক্ষ টাকায় রিঙ্কুকে প্রথমে কিনেছিল কেকেআর। এরপর চোটের কারণে বেশ কিছুদিন খেলতে পারেননি রিঙ্কু। পরে তাঁকে কেকেআর রিটেইন করে। সেই সময় সকলেই ভাবতেন রিঙ্কু সিং হলেন এমন এক ক্রিকেটার, যিনি মাঠে আসেন এবং কয়েকটা ভালো ক্যাচ নেন। আর সারাক্ষণ মুখে তাঁর লেগে থাকে হাসি। এরপর ধীরে ধীরে ক্রিকেট প্রেমীরা সাক্ষী থেকেছেন রিঙ্কু সিংয়ের ‘লর্ড রিঙ্কু’, ‘দ্য রিঙ্কু সিং’ হয়ে ওঠার।

এই প্রসঙ্গে হর্ষিত রানা বলেন, ‘কেকেআরের এটাই বিশেষত্ব। যে প্লেয়াররা আইপিএলে খেলছে তাঁরা সকলেই নিঃসন্দেহে ভালো। কিন্তু যে প্লেয়াররা টিমে সুযোগ পায় না, তাঁদের কেকেআর খুব ভালো করে গ্রুম করে। তার জন্য তাঁরা আরও ভালো প্লেয়ার তৈরি হয়ে যায়।’ হর্ষিতের এই কথা থেকে একটা বিষয় পরিস্কার যে, নাইট শিবির প্রতিভার প্রতি সুবিচার করে।

কেকেআরের গ্রুমিং সেশন দলের প্রত্যেকের জন্য বিশেষ কার্যকরী। হর্ষিত রানা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুম্বইয়ে আমাদের যে কেকেআর অ্যাকাডেমি চলে, সেখানে অভিষেক ভাইয়া (অভিষেক নায়ার-যিনি কেকেআরের সহকারী কোচ ছিলেন) অনেক পরিশ্রম করেন। আইপিএলের আগে এবং আইপিএলের সময় অভিষেক ভাইয়া আমাদের টিমের সকলের অনেক খেয়াল রাখেন। তিনি যা করেন দলের প্লেয়ারদের জন্য, তা আর কেউ করেন না।’

নাইট টিম বরাবর প্লেয়ারদের উন্নতির কথা ভাবে। সে কথা উল্লেখ করে হর্ষিত বলেন, ‘আইপিএলের আগে ঘরোয়া মরসুম শেষ হলেই আমাদের কেকেআরের মুম্বইয়ের অ্যাকাডেমিতে ডাকা হয়। সেখানে আমাদের ১৫ দিনের শিবির চলে। সেই সময় অভিষেক ভাইয়া দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে আলাদা করে সময় দেয়। উনি আমাদের সকলকে যে সময়টা দেন, এবং যে ভাবে শেখান তাতে প্রত্যেকের গ্রুমিং সেশন খুব ভালো কাটে। এই বছর কোন জায়গায় ফোকাস করা দরকার, কোথায় ভুল-ত্রুটি সব কিছু শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।’

 

Next Article