কলকাতা: মুসকুরায়ে আপ লখনউ মে হ্যায়… আপাতত মুখে হাসি নিয়ে একানা স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়েছেন ঋষভ পন্থ-কুলদীপ যাদবরা। শুক্রবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এটি চলতি মরসুমে দিল্লির দ্বিতীয় জয়। এই জয়ের অন্যতম কারিগর কুলদীপ যাদব। চোটের জন্য গত কয়েকটা ম্যাচে বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবকে (Kuldeep Yadav) পাওয়া যায়নি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG) বিরুদ্ধে কুলদীপ দিল্লির (DC) একাদশে ফিরেছিলেন। আর কামব্যাক ম্যাচেই সেরার পুরস্কার নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচের শেষে কী বললেন দিল্লির হিরো?
লোকেশ রাহুলের লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন চায়নাম্যান বোলার। অষ্টম ওভারে প্রথমে কুলদীপ জোড়া ধাক্কা দেন। মার্কাস স্টইনিস ও নিকোলাস পুরানকে তিনি ফেরান। এরপর লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উইকেটটিও তুলে নেন কুলদীপ। ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কুলদীপ বলেন, ‘আমি ফিট ছিলাম না। প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়েছিলাম। মাঝের ওভারগুলোতে টিম যেভাবে পারফর্ম করছিল, তা দেখা কঠিন ছিল। নিজেকে তাই ফিট করতে চেয়েছিলাম। এর কৃতিত্ব অবশ্য প্যাট্রিককে (ফারহার্ট) দিতে হবে। কারণ ও আমাকে ফিট হতে সাহায্য করেছে।’
কুলদীপ যাদব শুক্র-রাতে যে তিনটি উইকেট নিয়েছেন, তার মধ্যে নিকোলাস পুরানের উইকেটটি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। কারণ, ক্যারিবিয়ান সুপারস্টার দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। আর সেই পুরানকে গোল্ডেন ডাক হয় ফিরতে হয় কুলদীপের জন্য। কারণ কুলদীপের গুগলি বুঝতে না পেলে ক্লিন বোল্ড হন পুরান। অনেকেই বলছেন, এটি কুলদীপের আইপিএল কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ডেলিভারি।
আর কুলদীপের পছন্দের উইকেট কোনটি? তিনি বলেন, ‘তিনটে উইকেটই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রান রেট নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মিডল ওভারে উইকেট নেওয়া প্রয়োজন ছিল। আমার প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেটটি ভালো লেগেছে। আমি পুরানের বিরুদ্ধে অনেক বার খেলেছি। তাঁর ওর জন্য যে পরিকল্পনা করেছিলাম, তা কাজে লেগে গিয়েছে। আমি নিজের পরিকল্পনা নিয়ে পরিষ্কার ছিলাম। স্পিনার হিসেবে আমার জন্য শুধু লেন্থটাই আসল ছিল। আমি নিজের দক্ষতা সম্পর্কে অবগত। আমি যখন মনে করি ৫০/৫০ ডিআরএসের ব্যাপারে তখন ক্যাপ্টেনকে বোঝানোর চেষ্টা করি। আর যদি সেটা ৬০/৪০ হয় তা হলে অধিনায়কের কথা শোনার চেষ্টা করি। আমরা ২টো ডিআরএস পাই, তার মধ্যে একটা আমার।’