ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পরবর্তী সংস্করণ শুরু ২১ মার্চ। নভেম্বরের শেষে জেড্ডায় হয়েছিল মেগা অকশন। রিটেনশন এবং রাইট টু ম্যাচ (RTM) কার্ড ব্য়বহার করে ছ’জন প্লেয়ারকে রাখা যেত। এর মধ্যে থাকতে হবে আনক্যাপড প্লেয়ারও। রাজস্থান রয়্যালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স ছ’জন করে রিটেন করেছিল। বাকি প্রায় সব দলই চার-পাঁচজন। কিন্তু পঞ্জাব কিংস অন্য চাল চেলেছিল। মাত্র দুই আনক্যাপড প্লেয়ারকে রিটেন করেছিল তারা। অকশন পার্সে সবচেয়ে বেশি টাকা ছিল পঞ্জাব কিংসেরই। সেখানে যে ধামাকা করবে পঞ্জাব, সেই প্রত্যাশাই ছিল। আর তা নিয়েই আতঙ্কে ছিলেন ঋষভ পন্থ!
পঞ্জাব কিংসের বর্তমান কোচ রিকি পন্টিং। দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। যদিও সাফল্য দিতে পারেননি। দিল্লির ক্যাপ্টেন ছিলেন ঋষভ পন্থ। ফলে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে ঋষভ পন্থের। ভারতের কিপার-ব্যাটারের কি রিকি পন্টিংয়ের সম্পর্ক ভালো নয়? বা আরও পরিষ্কার করে বললে, সম্পর্ক খুবই খারাপ! ঋষভ পন্থের মন্তব্যে যেন সেই ইঙ্গিতই। রিকি পন্টিং পঞ্জাবে থাকায় তারা যে ঋষভ পন্থকে নেওয়ার চেষ্টা করবে, এটাও নিশ্চিত ছিল। শেষ অবধি অবশ্য পঞ্জাবে যেতে হয়নি।
পঞ্জাব কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ধুন্ধুমার লড়াইও হয়। যদিও একটা সময় হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। তার কারণ, পঞ্জাব ততক্ষণে শ্রেয়স আইয়ারকে ২৬.৭৫ কোটিতে নিয়ে ফেলেছে। পন্থের চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। শেষ দিকে আরটিএম ব্যবহার করে দিল্লি ক্যাপিটালসও। কিন্তু রেকর্ড দরে ঋষভ পন্থকে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। এ দিন তাঁকে অধিনায়কও ঘোষণা করল লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি। অকশনের সময় ঋষভ পন্থের অনুভূতি কী ছিল?
স্টার স্পোটর্সে ঋষভ পন্থ বলেন, ‘ভিতরে ভিতরে একটাই চিন্তাই ছিল, সেটা ছিল পঞ্জাব। কারণ, পঞ্জাবের পার্সে ১১২ কোটির মতো ছিল। দ্বিতীয় সর্বাধিক পার্স ৮২ কোটির মতো। পঞ্জাব কিংস যে কোনওরকম পাগলামি করতে পারে। ওদের পার্সে এত টাকা ছিল, যা কিছুই হতে পারত। সুতরাং, আমি অন্য টিমে খেলতে চাইলেও তা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। শ্রেয়স যখন পঞ্জাবে গেল, সে সময় আমি একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। তখন মনে হয়েছিল, আমি হয়তো লখনউয়েই যেতে পারি।’
Rishabh Pant Literally Cooked Punjab Kings 😭😭 pic.twitter.com/w4F6pds9kd
— 𝐉𝐨𝐝 𝐈𝐧𝐬𝐚𝐧𝐞 (@jod_insane) January 20, 2025