চোট নিয়েও ব্রিসবেনে বল করতে চেয়েছিলাম: নভদীপ
ভারতের হয়ে ১০টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নভদীপ, ৭টা ওয়ান ডে। অস্ট্রেলিয়া সফরে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, সেরাটাই দিয়েছেন। কিন্তু দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে টিমে সুযোগ পাননি।
নয়াদিল্লি: কুঁচকির চোট থাকলেও ব্রিসবেন টেস্টে বল করতে চেয়েছিলেন নভদীপ সাইনি। গাব্বায় প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭.৫ ওভার বল করার পর মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি বল করতে পারবেন, নভদীপ জবাব দিয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ পারব।’
দেশে ফিরে তরুণ পেসার নভদীপ বলেছেন, ‘অজিঙ্ক ভাই জিজ্ঞেস করেছিল, চোট নিয়েও আমি বল করতে পারব কিনা। আমি বলেছিলাম, অবশ্যই পারব।’
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড সিরিজের আগে এক সপ্তাহের কোয়ারান্টিনে কোহলিরা
হরিয়ানার ছেলের ভারতীয় ক্রিকেটের অলিন্দে ঢুকে পড়াটা বেশ আশ্চর্যের। হরিয়ানার নানা জায়গায় টেনিস বলে ক্রিকেট খেলে বেড়াতেন তিনি। সেখান থেকে দিল্লিতেও এসেই তা-ই করতেন। টেনিস বলের ক্রিকেট থেকেই দিল্লি ক্রিকেটের মূলস্রোতে ঢুকে পড়া। রঞ্জি ট্রফিতে নজর কাড়া। আইপিএলে নিজেকে মেলে ধরা। সেই নভদীপ সিডনিতে অভিষেক টেস্টেই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
বাবা বাস ড্রাইভার। খুব কষ্টেই বড় হয়েছেন। যা নিয়ে নভদীপ অকপট, ‘বড় হওয়ার দিনগুলোতে আমি টেনিস বলেই খেলতাম। রঞ্জি ট্রফি খেলতে শুরু করার সময় থেকে আমার দেশের হয়ে খেলার স্বপ্নটা তৈরি হয়েছিল। তখন থেকেই মনে হয়, চেষ্টা করলে আমিও পেশাদার ক্রিকেটার হতে পারব।’
আরও পড়ুন: ফাঁকা গ্যালারির সামনেই চেন্নাইয়ের ২ টেস্ট
গাব্বায় চোট পাওয়া নিয়ে নভদীপ বলেছেন, ‘টেস্টের শুরুতে আমি একদম ফিট ছিলাম। হঠাত্ করে চোট পেয়ে যাই। তখন আমি একটু চাপেই পড়ে গিয়েছিলাম। এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, যেখানে নিজেকে প্রমাণ করার বিরাট সুযোগ সামনে। তখন আমি ঠিক করি, চোট থাকলেও আমি বল করব। যে কারণে তীব্র যন্ত্রণা থাকলেও ক্যাপ্টেনকে বলেছিলাম, আমি বল করতে পারব।’
ভারতের হয়ে ১০টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নভদীপ, ৭টা ওয়ান ডে। অস্ট্রেলিয়া সফরে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, সেরাটাই দিয়েছেন। কিন্তু দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে টিমে সুযোগ পাননি। সিডনি টেস্টে বন্ধু মহম্মদ সিরাজকে পাশে পেয়েছিলেন নভদীপ। ‘ও আমার খুব ভালো বন্ধু। এক সঙ্গে ভারতীয় এ টিমের হয়ে প্রচুর খেলেছি। সিডনিতে যখন প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলাম, ও বলেছিল, লাইন আর লেন্থটা যেন ঠিক রাখি। টেস্ট ক্রিকেটে ওটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: নিজেকে বিএমডব্লিউ উপহার সিরাজের