Rohit Sharma : ‘প্রস্তুতির জন্য কমপক্ষে ২০-২৫ দিন প্রয়োজন’, আইপিএলকে কাঠগড়ায় তুললেন রোহিত?
WTC Final 2023 : আইপিএল শেষ হওয়ার পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল শুরু হতে দশদিনেরও কম সময় ছিল হাতে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সামি, মহম্মদ সিরাজরা আইপিএল খেলে লন্ডনে যান।
কলকাতা: এ বারও হল না। টানা দ্বিতীয় বার আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফিরতে হল ভারতকে। গতবার অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। এ বার রোহিত শর্মা। অধিনায়ক বদলালেও ভাগ্য বদলালো না ভারতের। টানা ১০ বছর ধরে আইসিসি ইভেন্টে শুধুই ব্যর্থতা। ২০৯ রানের ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে প্রথম বার আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয় অস্ট্রেলিয়ার। ওভালের ফাইনালে ভারতের হারের পিছনে দায়ী একাধিক কারণ উঠে আসছে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে একাদশের বাইরে রাখা, টপ অর্ডারের ব্যর্থতা-সহ একাধিক কারণ। টিম ম্যানেজমেন্টের একাধিক সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়েছে। কাঠগড়ায় রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি। তবে রোহিত এর পিছনে অন্য কারণ দেখছেন। হারের পিছনে যথেষ্ট প্রস্তুতির সময় না পাওয়াকে দায়ী করেছেন তিনি। অর্থাৎ, প্রস্তুতির সময় না পাওয়ার পিছনে ঘুরিয়ে আইপিএলকে দায়ী করেছেন রোহিত। প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলানোয় ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
কী বললেন রোহিত?
ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন বলেছেন, “টানা দু-বার হার। এমনটা কেউই চায় না। আমরাও সর্বস্ব দিয়ে জিততে চেয়েছিলাম। দলের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটার অভিজ্ঞ। আমাদের বোর্ডে আরও রান প্রয়োজন ছিল। বোলাররা যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় তখনই ওদের কাছ থেকে ম্য়াচের রাশ নেওয়াটা প্রয়োজন ছিল। যেটা ট্রাভিস হেড করতে পেরেছে। আমাদের মনসংযোগে সমস্যা ছিল বলে মনে করি না। তবে এটা ঠিক যে এরকম ম্যাচের আগে প্রস্তুতির জন্য় আরও সময়ে প্রয়োজন। কমপক্ষে ২০-২৫ দিন লাগে। টি-২০ ক্রিকেট থেকে টেস্ট ফরম্যাটে খেলাটা অনেক সময়ই কঠিন। তবে সামি ও সিরাজ ভালো প্রস্তুতি সেরেছিলেন।”
আইপিএল শেষ হওয়ার পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল শুরু হতে দশদিনেরও কম সময় ছিল হাতে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সামি, মহম্মদ সিরাজরা আইপিএল খেলে লন্ডনে যান। লন্ডনে পৌঁছে প্রস্তুতি শুরু করার জন্য বড়জোর সপ্তাহখানেক সময় পেয়েছিলেন রোহিতরা। পাশাপাশি ফাইনালের আগে বোর্ডের তরফে কোনও প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে, ঘুরিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ব্যর্থতার জন্য আইপিএল ও বোর্ডকেই দায়ী করলেন রোহিত। সেদিকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও অ্যাসেজের কথা মাথায় রেখে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের মতো সিনিয়র অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা আইপিএল এড়িয়ে গিয়েছিলেন। হাতেনাতে যার সুফল পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।