IND vs NZ: আড়মোড়া ভাঙার আগেই প্যাভিলিয়নে ভারতের পাঁচ, ১৪৭ টার্গেটই যেন পাহাড়-প্রমাণ
IND vs NZ: তৃতীয় দিন সকাল সকাল ভারতের প্রয়োজন ছিল এক উইকেট। উইল ও'রুরকি ও এজাজ তিনটে সিঙ্গল নেন। এজাজ প্যাটেল এরপর বড় শট খেলতে গিয়ে আকাশ দীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সেই সঙ্গে ১৭৪ রানে অল আউট হয় কিউয়িরা। যার ফলে ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৭।
কলকাতা: পাঁচ দিনের টেস্ট যেন আড়াই দিনেই শেষ হওয়ার পথে! রবি-সকালে মুম্বই টেস্ট দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে ক্রিকেট প্রেমীদের। দ্বিতীয় দিনের খেলা যখন শেষ হয়, সেই সময় নিউজিল্যান্ড (New Zealand) ছিল ৯ উইকেটে ১৭১ রানে। তৃতীয় দিন সকাল সকাল ভারতের প্রয়োজন ছিল এক উইকেট। উইল ও’রুরকি ও এজাজ তিনটে সিঙ্গল নেন। এজাজ প্যাটেল এরপর বড় শট খেলতে গিয়ে আকাশ দীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সেই সঙ্গে ১৭৪ রানে অল আউট হয় কিউয়িরা। যার ফলে ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৭। এই পিচে ১৪৭ রানের টার্গেটই ভারতের (India) জন্য যেন পাহাড়-প্রমাণ। সেই রান তাড়া করতে নেমে আড়মোড়া ভাঙার আগেই ভারতের পাঁচ তারকা ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
রবীন্দ্র জাডেজা এই নিয়ে টেস্টে ১৫টা ফাইফার নিলেন। একইসঙ্গে ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন ৩ বার। ১৪৭ রানের টার্গেট ভারতের জন্য কিন্তু সহজ নয়। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও কিউয়ি শিবিরের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর বলা হচ্ছিল, এখানে ১৫০ রানও তাড়া করা সহজ নয়। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে গিল জানিয়েছিলেন, এই পিচে ১৫০-১৬০ রান তাড়া করে জিততে একটা অন্তত ৭০-৮০ রানের পার্টনারশিপ প্রয়োজন।সেখানে তিনি চতুর্থ ওভারের শেষ বলে বোল্ড। তাঁর আগে রোহিত শর্মা ১১ রান করে তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আউট হন। এক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারতীয় টিম।
রোহিত-শুভমন আউট হওয়ার পর এজাজ তুলে নেন বিরাট কোহলির উইকেট। এরপর আউট হন যশস্বী। অবশ্য তাঁর আউট নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। বলের ইমপ্যাক্ট ব্যাট ও প্যাডের সঙ্গে একই সময় হওয়ায় ধোঁয়াশা ছিল আগে ব্যাটে নাকি প্যাডে বল লেগেছিল। যেহেতু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন, থার্ড আম্পায়ারকে এই সিদ্ধান্ত বদলাতে হলে কনক্লুসিভ এভিডেন্স দিতে হত। অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই সম্মান জানানো হয়। যার শিকার যশস্বী। অন ফিল্ড আম্পায়ার আউট না দিলে, ফিল্ডিং টিম রিভিউ নিলে সেক্ষেত্রে বেঁচে যেতেন যশস্বী।
এই খবরটিও পড়ুন
৪ উইকেট দ্রুত হারানোর পর মনে হচ্ছিল লোকাল বয় সরফরাজ খান ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু হল তা হল না। মাত্র ১ রান করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। এজাজ প্যাটেলের শিকার তিনি। প্রথম সেশনের এক ঘণ্টার মধ্যে ৩ উইকেট নিয়েছেন এজাজ। আর একটি করে ম্যাট হেনরি ও গ্লেন ফিলিপসের।
ম্যাচ চলছে নাকি আউট হওয়ার প্যাকেজ দেখানো হচ্ছে বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। টেস্ট খেলার ধৈর্য দেখাতে পারলেন না লোকাল বয় সরফরাজ খানও। প্রথম ইনিংসেও হতাশ করেছিলেন। শূন্যে আউট হয়েছিলেন। এ বার দেখার শেষ অবধি এই সিরিজে ভারত ক্লিনসুইপ এড়াতে পারে কিনা।