ভারতের মাটিতে খেলা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে কে জানত! ভারতে এর আগেও বহু টেস্ট সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জিতেছে, সিরিজ ড্র করেছে। কিন্তু সিরিজ জয়, কখনও নয়। এ বার যেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত গড়তে চলেছে নিউজিল্যান্ড। আর লজ্জার ইতিহাসের সামনে রোহিত শর্মারা। ওয়াশিংটনের সুন্দর বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ২৫৯ রানেই অলআউট করেছিল ভারত। প্রয়োজন ছিল ধৈর্য ধরে ক্রিজে পড়ে থাকা এবং প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩৫০ রান। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটাররা এতটা ধৈর্য দেখাতে পারলেন না। কিউয়ি শিবিরে ‘সুন্দর’ হয়ে উঠলেন স্যান্টনার।
প্রথম দিনই রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়েছিল ভারত। এ দিন শুরুতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমন গিল। স্যান্টনারের বোলিংয়ে লেগ বিফোর হন শুভমন। ক্রিজে প্রবেশ বিরাট কোহলির। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। বাঁ হাতি স্পিনার স্যান্টনার এয়ারে স্লো বল করেন। তাঁর একটি ফুলটসে টাইমিং মিস, বোল্ড বিরাট। এখানেই পতনের শুরু। শুভমন ও যশস্বী জুটিতে যোগ হয়েছিল ৪৯ রান। পরপর উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে ভারত। ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবীন্দ্র জাডেজা অষ্টম উইকেটে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভাঙতে ভারত অলআউট ১৫৬ রানেই। স্যান্টনার সাত উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানের বিশাল লিড নিউজিল্যান্ডের। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল। নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০-১৫০ রানে অলআউট করা গেলে! কিন্তু সেটা আর হয়নি। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে টম ল্যাথামের ব্যাট ছুঁয়ে বল উইকেটের পিছনে গেলেও ঋষভ পন্থের গ্লাভসে জমা পড়েনি। ক্যাচ হলে কিংবা ব্যাটে বল না লাগলে হয়তো বোল্ড হতেন! ল্যাথাম ক্যাপ্টেন্স ইনিংস খেললেন। শেষ অবধি ৮৬ রানে ফেরেন কিউয়ি ক্যাপ্টেন। উল্টোদিক থেকে ছোট ছোট ইনিংস বাকিদের। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেটে ১৯৮ রান তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সব মিলিয়ে লিড ৩০১ রানের। হাতে এখনও পাঁচ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের পাঁচের মধ্যে ৪ উইকেট নিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। বাকি একটি অশ্বিনের। ম্যাচ পুরোপুরি নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে। তারা কখন দান ছাড়বে বলা কঠিন। ভারত যদি তৃতীয় দিন আর ৫০ রানের মধ্যেও অলআউট করে তাতেও ৩৫০ প্লাস স্কোর তাড়া করতে হবে। এই পিচে যা কার্যত অসম্ভব। নিউজিল্যান্ড কখনও ভারতে টেস্ট সিরিজ জেতেনি। এ বার যেন সেটাই হতে চলেছে। তাও আবার এক ম্যাচ বাকি থাকতেই।