
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা… হাসির কথা শুনলে বলে… হাসব না-না, না-না… চিন্তা নেই, রামগরুড়ের ছানার গল্প আপনাদের শোনাব না। আজ আসলে কেকেআরের এক যোদ্ধার গল্প বলব। যোদ্ধারা কেমন হয়? সুঠাম চেহারার। সারাক্ষণ তাঁদের চোখে-মুখে সিরিয়াসনেস স্পষ্ট। নিজেকে তেমনই বানিয়েছেন ক্যারিবিয়ান সুপারস্টার সুনীল নারিন (Sunil Narine)। কেকেআরের (KKR) জার্সিতে সেই ২০১২ সাল থেকে খেলছেন। রান বেশি করুন বা নিন বেশি উইকেট, নারিন থাকেন নিরুত্তাপ। এই দৃশ্য কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুরাগীদের বড্ড চেনা। নারিনের কি হাসতে মানা? না-না, সে সব নয়। তিনিও হাসেন। ঠিক এক বিশেষ সময়ে। জানেন সেটি কখন?
নারিনের আইপিএল কেরিয়ারে একটু ঢুঁ মারলে দেখা যাবে, সেই ২০১২ সাল থেকে আইপিএলে এখনও অবধি ১৮২টি ম্যাচ খেলেছেন। তাতে ১টি সেঞ্চুরি, ৭টি হাফসেঞ্চুরি দিয়ে করেছেন ১৬৫৯ রান। আর এই সময়ে ১৮৫টি উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন। এ বারের আইপিএলে নাইট জার্সিতে এখনও অবধি ৫ ম্যাচ খেলেছেন। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চিপকে ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ব্যাটে-বলে সুপারহিট নারিন। প্রথমে ১৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন। এরপর গুরুত্বপূর্ণ ও ম্যাচ জেতানো ৪৪ রান। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে মাঠ ছাড়েন নারিন। সেই ম্যাচের শেষে নাইটদের এক্স হ্যান্ডেলে এক ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে নারিনকে প্রশ্ন করা হয়, ‘দেশ জানতে চায় সুনীল নারিন কখন হাসেন?’
কেকেআরের ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োর শেষে রয়েছে নারিন কখন হাসেন, তার উত্তর। থমথমে মুখে দাঁড়িয়ে থাকা নারিনের সামনে নাইট ক্লাবের সদস্য প্রশ্ন রাখেন, ‘নারিন কখন হাসেন? এক ম্যাচে তিন উইকেট পেলে?’ সেই সময় চুপ করে থাকেন তিনি। এরপর তাঁর সামনে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘১৮ বলে ৪৪ রান করলে?’ তাতেও নিরুত্তাপ নারিন। পরের প্রশ্ন, ‘ধোনির উইকেট পেলে?’ কোনও ভাবেই নারিনের মুখে হাসি ফোটেনি। শেষ মেশ নাইট ক্লাবের সদস্য জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেকেআর ২ পয়েন্ট পেলে হাসি ফোটে?’ সঙ্গে সঙ্গে এক গাল হেসে সেখান থেকে এগিয়ে যান নারিন।
Only one thing makes Sunil Narine smile! 😁👌 pic.twitter.com/hzRz6k0nWa
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 11, 2025
নারিনের সতীর্থরা আবার এ কথা পুরোটা মানেন না, যে ক্যারিবিয়ান তারকা সেভাবে হাসেন না। এই যেন অংকৃষ রঘুবংশীর কথাই যদি বলা হয়। রঘুবংশী জানিয়েছিলেন, ডাগআউটে নারিন মাঝে মাঝেই সতীর্থদের হাসান। মজার মজার জোকস শোনান। তবে মাঠে নারিনকে অন্য মেজাজে দেখা যায়। সেই সময় তাঁর হাসি মোড থাকে অফ। দল জিতলেই তা অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়। নারিন এমনই।