IPL 2025, Preity Zinta: প্লেয়াররা কথা রেখেছিলেন, চাহিদা মেটাতে ঘাম ছুটেছিল প্রীতি জিন্টার!
PBKS, IPL 2025: আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্ণধারদের প্রসঙ্গ উঠলে যেমন 'বীর'-এর কথা আসবে, তেমনই 'জারা'র। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কর্ণধার শাহরুখ খানের কথাই ধরা যাক। প্লেয়ারদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশেন। কখনও বা দাদার মতো।

গালে টোল, মুখে হাসি। প্রীতি নয়, বরং তাঁকে প্রিটি জিন্টা ডাকাই যায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পঞ্জাব কিংসের হৃদয় প্রীতি জিন্টাই। টিম গড়া থেকে অনান্য নানা পরিকল্পনায় তাঁর ছাপ থাকে। শুধুই ব্যবসা নয়, আবেগ দিয়ে ভালো বাসেন টিমকে। এর জন্য কিছু করতেই যেন বাধ সাধে না।
টিমের ভালো পারফরম্যান্সের নেপথ্যে কি শুধুই ক্রিকেটাররা? হয়তো হ্যাঁ। কিংবা না। অনেক টিমেই সেরা প্লেয়াররা থাকেন। তারপরও অধরা থেকে যায় ট্রফি। সাফল্য মানে যদি শুধু ট্রফিই হয়, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ব্যর্থ বলতে হয় একাধিক টিমকে। আইপিএলের শুরু থেকেই খেলছে পঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি। তেমনই দিল্লিও। আর স্টার প্লেয়ারদের খনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তারাও তো ট্রফি জেতেনি। ভালো পারফর্ম কিন্তু করেছে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এর প্রথম কারণ বিনোদন। কিন্তু আসলটা ভুললে চলবে না। দেশের হোক বা বিদেশের। প্রচুর তরুণ ক্রিকেটারের উত্থান হয় এই টুর্নামেন্টে। আর টিমের ভালো পারফরম্যান্স, দুর্দান্ত পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় টিম ম্যানেজমেন্টও। টিমের কর্ণধার যদি প্লেয়ারদের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন, পারফরম্যান্স ভালো হতে বাধ্য।
আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্ণধারদের প্রসঙ্গ উঠলে যেমন ‘বীর’-এর কথা আসবে, তেমনই ‘জারা’র। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কর্ণধার শাহরুখ খানের কথাই ধরা যাক। প্লেয়ারদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশেন। কখনও বা দাদার মতো। টিম জিতলে যেমন ড্রেসিংরুমে সকলের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন, হারলে সকলকে প্রেরণা জোগান। মালকিন হিসেবে ‘জারা’ প্রীতি জিন্টা কেমন?
পঞ্জাব কিংসের প্রাক্তন হোক কিংবা বর্তমান, প্রত্যেকটা প্লেয়ারই হয়তো বলবেন দুর্দান্ত। এমন নানা ঘটনাও তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকটা পেশাতেই সাফল্য-ব্যর্থতা থাকে। প্রীতি জিন্টা একজন অভিনেত্রী। তাঁর প্রত্যেকটা ছবি সুপারহিট হয় না। সেটা খুব ভালো ভাবেই জানেন। একই কথা তো প্লেয়ারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। প্রত্যেকটা ম্যাচ ভালো যাবে না। প্রীতিও সেটা উপলব্ধি করেন। পঞ্জাব কিংসের বেশির ভাগ ম্যাচেই গ্যালারিতে দেখা যায় প্রীতি জিন্টাকে। ক্রিকেটারদের যেমন চিয়ার করেন, তাঁদের পছন্দের খেয়ালও রাখেন। এমনকি প্লেয়ারদের পেটের খিদে মেটাতে কিচেনেও ঢুকে পড়তে পারেন।
আইপিএলে এমন ঘটনাও হয়েছিল। পঞ্জাব কিংসের এক প্রাক্তন ক্রিকেটারই সেই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। ঘটনাটি ২০০৯ সালের। ইংল্যান্ড তথা পঞ্জাব কিংসের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবি বোপারা সেই ঘটনা জানিয়েছিলেন। বলিউড অভিনেত্রী তথা পঞ্জাব কিংসের মালকিন নিজে হাতে আলু পরোটা বানিয়ে খাইয়েছিলেন!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয় ২০০৮ সালে। ২০০৯ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে আইপিএল দেশে আয়োজন করা নিয়ে সমস্যা ছিল। সে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় করা হয় আইপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণ। শুরুর দিকের সেই তথ্যই তুলে ধরেছিলেন রবি বোপারা। আইপিএলের একটি অনুষ্ঠানে এই ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন, তখন মাঝে-মধ্যেই টিমের পার্টি হত। আর সেখানেই প্রীতি জিন্টার পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়েছিল।
আইপিলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে চ্যানেলে প্রীতি জিন্টা বলেন, কেউ কি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারবেন যে প্রীতি জিন্টা টিমের জন্য আলু পরোটা বানাবে! আমার তো মনে হয়, ও এখন আলু পরোটা খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছে।
সঞ্চালকের সঙ্গে ছিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংও। তিনিও প্রীতির কথা শুনে হাসতে থাকেন। প্রীতি নিজের উপলব্ধি প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথম বার বুঝেছিলাম, তোমরা ছেলেরা কত খেতে পারো। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা যে হোটেলে ছিলাম, সেখানে আলু পরোটা পছন্দ হয়নি। প্লেয়ারদের বলি, আমি ওদের শেখাবো কী করে আলু পরোটা বানাতে হয়। উল্টে ওরা আমাকে বলে, ওদের জন্য আলু পরোটা বানাতে।’
প্লেয়ারদের শর্ত চাপিয়ে দিয়েছিলেন প্রীতি জিন্টা। কথা দিয়েছিলেন, পরের ম্যাচটা জিতলে অবশ্যই আলু পরোটা বানিয়ে খাওয়াবেন। আর এই কথাতেই যেন তেতে গিয়েছিল টিম। পরের ম্যাচটি জিতেছিল পঞ্জাব। ব্যস আর কী! কথা রাখতে হয়েছিল প্রীতিকেও। টিমের জন্য সব মিলিয়ে ১২০টি পরোটা বানিয়েছিলেন! প্রীতি মজা করেই জানান, এরপর থেকে আলু পরোটা বানানোই ছেড়ে দিয়েছেন।
হরভজন সিং সঙ্গে যোগ করেন, ইরফান পাঠান নাকি একাই ২০টি পরোটা খেয়েছিলেন। ভাবা যায়! বলিউড অভিনেত্রী, টিমের মালকিন নিজে হাতে ১২০টি পরোটা বানিয়েছেন! টিমের প্লেয়ারদের চাহিদা মেটাতে যে ঘাম ছুটেছিল প্রীতির, বলাই যায়।





