
সেই ৬০ ওভারের কথা মনে পড়ে? টিম হাডলে বিরাট কোহলির পেপ টক তাতিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় দলকে। লর্ডসে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। তার চেয়েও বড় কথা, লড়াইটা। পেপ টকে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি সতীর্থদের পরিষ্কার বার্তা দিয়েছিলেন, ৬০ ওভার ওদের নরকের স্বাদ দিতে হবে। ক্যাপ্টেনের কথায় সেই কাজটাই করে দেখিয়েছিলেন পেসাররা। ইংল্যান্ড ব্যাটাররা নরকের স্বাদই পেয়েছিলেন। লিডস টেস্টের পঞ্চম দিন সেই প্রসঙ্গই উঠে এল।
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। টেস্টে ভারতের সর্বকালের সেরা ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। প্রতিপক্ষ যেই হোক, যত শক্তিশালীই হোক, লড়াই থেকে পিছপা হয়নি ভারতীয় দল। লিডস টেস্টে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি ছিল। ম্যাচের শেষ দিন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ৩৫০ রান, ভারতের দরকার ১০ উইকেট। কিন্তু লাঞ্চ অবধি উইকেটের খোঁজে হন্যে হয়ে থাকতে হল। ওপেনিং জুটি ক্রমশ ভারতের হতাশা বাড়াতে থাকে। উইকেট নিতে কী করতে হবে? সেই পরামর্শই দিচ্ছিলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।
ধারাভাষ্যে রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘উইকেট নিতে হলে ইংল্যান্ডকে আগ্রাসনেও চাপে ফেলতে হবে। অন্তত তিন জন প্লেয়ার প্রয়োজন যারা, ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মাথা খারাপ করে দেবে। কোহলির মতো করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় না, এই টিমে কেউ কোহলির মতো করতে পারবে। কোহলি তিন জনের কাজ একাই করে দিত।’
ভারতীয় দলের প্লেয়ারদের মধ্যে ঋষভ পন্থ এবং সিরাজকে কিছুটা দেখা গেল প্রতিপক্ষকে ‘বিরক্ত’ করতে। কিন্তু তা কোহলির মতো আগ্রাসন নয়। শাস্ত্রীর সহ ধারাভাষ্যকার তথা ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইক অ্যাথারটন বলেন, ‘রবি যেমন বলছে, সিরাজ কিছুটা ওরকম। কোহলি যেমনটা লর্ডসে বোলারদের বলেছিলেন। সিরাজ কিন্তু আগ্রাসী।’ যদিও ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙতেই হিমসিম পরিস্থিতি ভারতের।