ভারতের টি-টোয়েন্টি টিমে ক্রমশ যেন ক্রাইসিস ম্যান হয়ে উঠছেন রিঙ্কু সিং। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরও একবার তা করে দেখালেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্স জার্সিতে এমনটা অনেকবারই করেছেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বেশ কয়েক বার। জানুয়ারিতে ভারত-আফগানিস্তান বেঙ্গালুরু ম্যাচটাই ধরা যাক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তারকা সমৃদ্ধ দলই খেলছিল ভারতের। কিন্তু হিটম্যানের সঙ্গে ক্রাইসিস পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন সেই রিঙ্কু সিংই। এ বার নতুন উপাধিও পেলেন। এর জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও।
বেঙ্গালুরু ম্যাচটার প্রসঙ্গে একটু আসা যাক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করছিল ভারত। একদিকে রোহিত শর্মা। উল্টোদিক থেকে যশস্বী, বিরাট কোহলি, শিবম দুবে, সঞ্জু স্যামসনরা এক এক করে আউট হয়ে ফেরেন। রোহিতের সঙ্গে রিঙ্কু সিং যখন ক্রিজে যোগ দেন, টিমের স্কোর ২২-৪। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন জুটি। ২১২-র বিশাল স্কোর গড়েছিল ভারত। অনেক এমন পরিস্থিতি দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামেও। রিঙ্কু সিং ব্যাট করতে নামেন দলের ৪১-৩ স্কোরে। নীতীশ রেড্ডি, হার্দিকের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি। শেষ অবধি ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ২২১!
ম্যাচ শেষেই সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কথা বলেন রিঙ্কু। ধারাভাষ্যকার মুরলি কার্তিক বলেন, ‘রিঙ্কু, তোমাকে আমি নতুন নামে ডাকতে চাই। আইস (বরফ)। কারণ, তুমি কঠিন পরিস্থতিতেও এত ঠান্ডা মাথায় যে ভাবে পারফর্ম করো। আচ্ছা এমন পরিস্থিতির জন্য কীরকম প্রস্তুতি থাকে? কী ভাবে এমন ঠান্ডা থাকো?’ ভারতীয় দলের ফিনিশার রিঙ্কু বলেন, ‘আইপিএল, ঘরোয়া ক্রিকেট হোক বা দেশের জার্সিতে। এটা অনেক দিন থেকেই করে এসেছি। টিম কঠিন পরিস্থিতিতে থাকলে আমাকে কী করতে হবে, ভূমিকাটা পরিষ্কার রয়েছে। আমি শুধু সেই টার্গেটে নজর দিই।’
কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রাখা প্রসঙ্গে ধোনিকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘মাহি ভাইয়ের সঙ্গে যখনই কথা বলার সুযোগ হয়েছে, এই বিষয়টা নিয়ে বলেছি। মাহি ভাই সবসময়ই সাহায্য করেছে। টিম দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালে একজন ব্যাটারের কী করা উচিত, সেটা বুঝিয়েছেন।’ মহেন্দ্র সিং ধোনি পরিচিত ক্যাপ্টেন কুল নামেই। রিঙ্কুকেও কি কার্তিকের উপাধি থেকে আইসম্যান বলা হবে?