
লর্ডসে টেস্টে কিপিংয়ের সময় হাতে চোট পেয়েছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টারে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পায়ে গুরুতর চোট। ক্রিস ওকসের একটি ইয়র্কারে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে লাগে। জুতো খুলতেই দেখা যায় রক্ত ঝরছে। দ্রুত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁকে চিকিৎসা এবং স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পায়ে চিড় ধরা পড়ে। তখনই পরিষ্কার ইঙ্গিত ছিল, সিরিজে আর পাওয়া যাবে তাঁকে। পঞ্চম টেস্ট থেকে অবশ্য ছিটকে গেলেন পন্থ। তাঁর পরিবর্তে স্কোয়াডে যোগ করা হল কেকেআরের প্রাক্তন কিপার-ব্যাটারকে।
ম্যাঞ্চেস্টারে প্রথম দিন চোট পেয়েছিলেন পন্থ। কিপিং করতে পারবেন না নিশ্চিতই ছিল। ব্যাটিংয়ের প্রশ্নই নেই। যদিও অবাক কাণ্ড ম্যাচের দ্বিতীয় দিন। বোর্ডের তরফে সরকারিভাবে জানানো হয়, ঋষভের চোট গুরুতর হলেও প্রয়োজনে তিনি ব্যাট হাতে নামবেন। হলও তাই। বহু কষ্টে ড্রেসিংরুমের সিড়ি দিয়ে নামেন। ৩৭ রানে মাঠ ছেড়েছিলেন। ফিরে এসে ব্যাটিংয়ে অস্বস্তি হচ্ছিল। দৌড়তে পারছিলেন না ঠিকঠাক। যোদ্ধার মতো লড়াই করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে অবশ্য ব্যাট করতে হয়নি।
ওভালে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট। ঋষভ পন্থের পরিবর্তে স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে নারায়ণ জগদীশনকে। প্রাথমিক ভাবনায় ছিলেন ঈশান কিষাণ। যদিও ঈশানের একটি দুর্ঘটনা হয়েছে। চোটের কারণে বিকল্প ভাবতে হয়। জগদীশনকে বেছে নেওয়া হয়। যদিও খেলানো হবে ধ্রুব জুরেলকেই। ব্যাক আপ থাকবেন নারায়ণ জগদীশন। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই নাম অবশ্য অচেনা নয়।
তামিলনাড়ুর এই কিপার ব্যাটার সীমিত ওভারের পাশাপাশি খেলেছেন প্রথম শ্রেনির ম্যাচও। লাল-বলের ক্রিকেটে ৬৬ ম্যাচে ১৪৭৫ রান করেছেন জগদীশন। ১০টি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন দুটো সংস্করণ। যদিও খুব বেশি সুযোগ পাননি। ২০২৩ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ছিলেন। ৬ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৮৯ রান। স্বাভাবিক ভাবেই কেকেআর আর তাঁকে রাখেনি। সম্প্রতি তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন নারায়ণ জগদীশন।