
কলকাতা: ১৩ এপ্রিল রাতে আইপিএল টেবলের দুটি দুই প্রান্তের টিমের মধ্যে খেলা হয়। মুম্বইকে ২০৬ রানের লক্ষ্য় দেয় দিল্লি। দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩ নং ওভারের পর লেগ স্পিনার করণ শর্মাকে নিয়ে আসা হয়। দ্রুত রাহুল ও স্টাবসকে তুলে নেন করণ। ফলে ম্যাচ প্রায় পকেটে পুরে ফেলে মুম্বই। এরপরেই রোহিত নাকি হার্দিক— করণকে বোলিংয়ে নিয়ে আসার কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে তরজা শুরু হয়ে যায় দুই ধারাভাষ্য়কারের মধ্যে। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান একটি ম্যাচ ছিল। মাঠে নামার আগে মোট ৫টির মধ্যে ৪টিতেই হেরেছে মুম্বই। ছয় নম্বর ম্যাচে জিততে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। শেষে ১২ রানে জয় হয় তাদের। দিল্লি এই ম্যাচেই প্রথম হারের মুখ দেখল। জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশির ভাগ ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় রোহিতের প্রশংসা করা হয়েছিল।
মুম্বইয়ের বোলিংয়ের ১৩তম ওভার চলাকালীন কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে ও বোলিং কোচ পরশ মামরে সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায় ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন রোহিতকে। তারপর হার্দিককে লেগস্পিনার করণ শর্মাকে নামিয়ে দ্বিতীয় নতুন বল দেওয়ার ইঙ্গিত দেন রোহিত। এই সিদ্ধান্তের ফলে স্টাবস এবং রাহুল আউট হন। যার ফলে দিল্লি লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিততে পারেনি।
রাহুলের উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রাহুল আউট হওয়ার পর, করণকে বোলিং আনার কৃতিত্ব কার, সেই নিয়ে দুই প্রাক্তনীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়। সঞ্জয় বাঙ্গার ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্তের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন রোহিতকে। তিনি বলেছেন, ‘ওই উইকেটটার জন্য রোহিতকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।’ তখনই সঞ্জয় মঞ্জরেকর তীব্রভাবে ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন, ‘বাইরে থেকে পরামর্শ দেওয়া খুব সহজ। যদি সিদ্ধান্তটা ভুল প্রমাণিত হত, তাহলে হার্দিককেই দোষ দেওয়া হত। পুরো কৃতিত্ব হার্দিকেরই পাওয়া উচিত। ক্যাপ্টেন হিসেবে ও শেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তার ফলও পেয়েছে।’