
ভারতকে যে কোনও দল হারাতে পারে! এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে যেন সূর্যকুমার যাদবদের তাতানোর জন্য এটুকুই যথেষ্ট। বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স এমন কথা বলেছেন। এ বারের এশিয়া কাপে ভারত একমাত্র দল যারা এখনও অবধি সব ম্যাচ জিতেছে। খারাপ দিন আসতেই পারে। তবে ভারতীয় দলকে এশিয়া কাপে অপ্রতিরোধ্য মনে হয়েছে। গ্রুপে তিনটির মধ্যে তিন ম্যাচেই জয়। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে দুরমুশ করেছে ভারত। এ বার যেন বাংলাদেশকেও জবাব দেওয়ার পালা। এই ম্যাচ জিতলে ফাইনালও কার্যত নিশ্চিত। নবম এশিয়া কাপ ট্রফির দিকে অনেকটা এগিয়ে যাবে বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জসপ্রীত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তীকেও। দু-জনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাদশে ফিরেছিলেন। বরুণ রান আটকানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা নিয়েছেন। ভারতীয় দলকে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রেখেছিল জসপ্রীত বুমরার পারফরম্যান্স। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছিলেন। কোনও উইকেট পাননি। কেরিয়ারে শেষ কবে এমন অস্বস্তির পরিসংখ্যান ছিল জসপ্রীত বুমরার, এ যেন ভাবার বিষয়।
ভারতীয় দলের দ্বিতীয় অস্বস্তি বলা যায়, ক্যাচিংও। গত ম্যাচে একঝাঁক ক্য়াচ ফসকেছে। যা কিছু খামতি, ব্য়াটাররা পূরণ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে বলতে হয় দুই তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিলের কথা। ওপেনিং জুটিতেই ১০৫ রান যোগ হয়েছিল। মিডল অর্ডারও ছন্দে রয়েছে ভারতের। সব ম্যাচ জিতে ফাইনালে যাওয়াই টার্গেট ভারতের।
বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে টিম গেম দেখা যায়নি। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিলেন লিটন দাসরা। সেই ম্যাচের আত্মবিশ্বাস ভারতের বিরুদ্ধেও কাজে লাগাতে মরিয়া। লিটন দাসের উপর বাড়তি চাপ থাকবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বাধিক রান শিকারি হয়েছেন লিটন। ভারতের বিরুদ্ধে বড় রান করতে পারলে নায়ক হবেন। বাংলাদেশের চাপ কিন্তু টিম হিসেবে পারফর্ম করা নিয়েই।