
মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) যোগ্য উত্তরসূরি ধরা হয় তাঁকে। সাম্প্রতিককালে এমন আগ্রাসী কিপার-ব্যাটার আসেননি ভারতীয় ক্রিকেটে। ২০১৭ সালে সুযোগ পান ভারতীয় দলে। ২০১৯ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে দলেও ছিলেন। দেশের নতুন ক্যাপ্টেনের দৌড়েও ছিলেন। সেই ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) জীবনটাই এলোমেলো করে দিয়েছিল এক ভয়ঙ্কর ঝড়। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন। মারাত্মক চোট তো পেয়েছিলেন, হাঁটুর লিগামেন্টও ছিঁড়ে যায়। ভেঙে যায় কবজির ও গোড়ালির হাঁড়। মারাত্মক চোট পান পিঠে। আর কোনওদিনও মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা, তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। এমনকি নিজেও বোধহয় ভাবেননি। ঠিক এখান থেকেই একটা আস্ত সিনেমা করে তুলেছিলেন জীবনটাকে। যেখানে লিখেছেন ফিরে আসার আশ্চর্য কাহিনি।
যাবতীয় অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ২০২৪ সালে আইপিএলে ফেরেন ঋষভ পন্থ। ২০২৪ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যায় ঋষভকে। ক্যাপ্টেন্সি বিশেষ ভালো হয়নি। তবে ব্যাটে জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছিল ঋষভকে। ৪০.৫-এর গড়ে মোট ৪৪৬ রান করেন ঋষভ। কিন্তু তারপরেও ২০২৫-এর মেগা অকশনে তাঁকে রিটেন করেনি দিল্লি। শোনা যায়, ফ্র্যাঞ্চাইজির অনীহার থেকে বেশি তিনিই ছাড়তে চেয়েছিলেন দিল্লি। দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁর বাজার দর কেমন।
২০২৫-এর আইপিএলের মেগা নিলামে ২৭ কোটি টাকায় ঋষভকে কিনেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। এ বারের আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। পন্থ একই সঙ্গে লখনউয়ের ক্যাপ্টেনও। তাঁর উপরে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে ভক্তদের এবং দলের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বোলারদের ঝাঁঝরা করে দেন। তাঁকে সেই ভূমিকাতেই দেখতে চায় দল এবং তাঁর ভক্তরা। কিন্তু এই মরসুমে একদমই ফর্মে নেই ঋষভ। লখনউয়ের হয়ে এখনও অবধি মোট চারটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে তাঁর মোট রান ১৯, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সর্বাধিক ১৫। ৪ ম্যাচে এখনও ২৭ রানও করতে পারেননি ২৭ কোটির ঋষভ।
ক্য়াপ্টেন হিসেবেও যে বিশেষ জ্বলে উঠেছেন, তাও বলা যাবে না জোর দিয়ে। তাই সমালোচনার মুখে পড়েছেন বারবার। ২৭ কোটির বোঝাই কি চাপে ফেলে দিচ্ছে পন্থকে? যা প্রভাব ফেলছে তাঁর পারফর্ম্যান্সে। কলকাতা ম্যাচে কি ভালো পারফর্ম করতে পারবেন পন্থ? ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে দেখা যাবে? লখনউয়ের মালিকের শহরে কি লখনউ সুপার জায়ান্টসকে জয় উপহার দিতে পারবেন পন্থ? রয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। উত্তর মিলবে আজই।