কলকাতা: কোনও টিম কারও একার পারফরম্যান্সে ভর করে জিততে পারে না। এ কথা ক্রীড়া মহলে খুব প্রচলিত। তেমনই কোনও টিম একার ব্যর্থতাতে হারেও না। ভারতীয় টিমের এ বার বর্ডার গাভাসকর ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে। তার পর থেকে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকে। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি রয়েছেন অনেকের টার্গেটে। এই পথে অবশ্য হাঁটছেন না জোড়া বিশ্বকাপজয়ী যুবরাজ সিং।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে যুবরাজ সিং ভারতের বর্ডার গাভাসকর ট্রফি হারের পর তাঁর অনুভূতি নিয়ে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যাঁরা সমালোচনা করছেন কোহলি ও রোহিতকে তাঁদের ভারতীয় ক্রিকেটে রো-কো জুটির অবদানের কথাও মনে করিয়েছেন যুবি। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে ভারতীয় টিম যা অর্জন করেছে, সেদিকে নজর রাখি আমি। অস্ট্রেলিয়ার পরপর ২ বার ভারত সিরিজ জিতেছে। আমার তো মনে পড়ছে না অন্য কোনও দল এটা পেরেছে। আমরা এখন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিকে নিয়ে খারাপ কথা বলছি। আমরা এটা ভুলে গিয়েছি যে ওরা অতীতে কী অর্জন করেছে। এখনকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ওরা। হেরেছে ঠিক আছে। তবে আমাদের থেকে ওদের কষ্টটা বেশি হচ্ছে। আমি আশাবাদী ভারত ঘুরে দাঁড়াবে। গৌতম গম্ভীর কোচ, অজিত আগরকর নির্বাচক প্রধান, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রীত বুমরারা রয়েছে। ওদের মনোভাব অসাধারণ। ওরা সিদ্ধান্ত নেবে যে ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেটের কী হবে।’
খুব বড় বিষয় এটা। আমি অতীতে এমন কখনও দেখিনি যে কোনও অধিনায়কের ফর্ম ভালো নয়, আর তিনি দলের বাইরে চলে গেলেন। রোহিতের মহানতার প্রমাণ দেয় এটা। যে নিজের থেকে দলকে এগিয়ে রেখেছে ও। অসাধারণ অধিনায়ক ও। তাতে সিরিজ জিতুক বা হারুক বরাবর অসাধারণ ক্যাপ্টেন থাকবে। ওর নেতৃত্বে ভারত ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরা টি-২০ বিশ্বকাপও জিতেছি ওর নেতৃত্বে। আমার মতে এই সিরিজের হারের থেকে দেশের মাটিতে হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে ৩-০ হারটা বেশি কষ্টকর। ওটা গ্রহণযোগ্য নয়। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারত বেশ কয়েক বছর ধরে দাপট দেখাচ্ছে। ২ বার পরপরও জিতেছে। এ বার হেরেছে, তাও মেনে নেওয়া যায়।’
ভারতীয় টিমে কোনও বদলের প্রয়োজন রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে যুবি বলেন, ‘আমি মতামত দিতে পারি, যখন প্লেয়াররা ভালো পারফর্ম করতে না পারে, সেই সময় সকলে সমালোচনা করা খুবই সহজ। সমর্থন করা কঠিন। যাঁরা সমালোচনা করার করবে। আমার কাজ বন্ধুদের সমর্থন করা। আমার জন্য ওরা আমার পরিবার।’