Santosh Trophy: বদলার মেজাজে ফুটছে বাংলা
কেরলের আক্রমণ রুখতে ডাবল স্ক্রিনিংয়ের রাস্তায় হাঁটছেন রঞ্জন। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনেই দলকে সাজাতে চান। জোড়া ব্লকারের ভূমিকায় নবি আর তন্ময় ঘোষ থাকছে। মাঝমাঠে সুজিত, জয় বাজ আর ফারদিন আলি। সিঙ্গল স্ট্রাইকার হিসেবে থাকছে মহিতোষ রায়।

মালপ্পুরম: বদলার মেজাজে ফুটছে বাংলা (Bengal Football Team) শিবির। গ্রুপ পর্বে কেরলের কাছে হেরেই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল রঞ্জন ভট্টাচার্যের দল। খেতাব জয়ের মুখে বাংলার সামনে এখন একটাই বাধা, কেরল। জেসিন, জিজো যোশেফ, অর্জুন জয়রাজদের হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি নিয়ে শহরে ফিরতে চান মনোতোষ চাকলাদার, প্রিয়ন্ত সিংরা। চার বছর আগে সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ফাইনালে কেরলের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার। সে বার যুবভারতীতে মনোতোষদের সামনে দিয়ে খেতাব নিয়ে চলে গিয়েছিল কেরল। ওই সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার কোচ ছিলেন রঞ্জন চৌধুরী। এ বার আর এক রঞ্জনের হাত ধরেই সেই বদলা নিতে মরিয়া বাংলা। কেরলের ডেরা থেকে বিপক্ষকে হারিয়ে খেতাব জিতে শহরে ফিরতে চান ফারদিনরা। ম্যাচের আগের দিন সকালে অনুশীলন করে বাংলা দল। বিপক্ষের আক্রমণকে রুখতে বাড়তি নজর দিচ্ছেন রঞ্জন ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে ফারদিনদের দিয়ে আক্রমণ শানিয়ে পাল্টা গোল তুলে নেওয়াও লক্ষ্য বাংলা শিবিরের।
কেরলের মাঠে খেলা। তাই ফাইনালে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ থাকছেই। বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওদের মাঠে, ওদের দর্শকদের সামনে খেলা। চ্যালেঞ্জ তো বটেই। গত ম্যাচে ওদের দর্শকদের চিৎকারে আমার স্ট্র্যাটেজি ফুটবলাররা শুনতে পাচ্ছিল না। এ বার যাতে এ রকম না হয়, সেটার জন্য পরিকল্পনা করে রেখেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে সমস্ত বাধা পেরিয়েই জিততে হবে। দর্শকদের সামনে অধিকাংশের খেলার অভিজ্ঞতা নেই ঠিকই। তবে বড় মঞ্চে খেলতে হলে দর্শকদের সামনেই তো খেলতে হবে। সমস্ত প্রতিকূলকে অনুকূল করতে হবে। সেটা ছেলেদের বলে দিয়েছি।’
কেরলের আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী। বিপক্ষের বড় চেহারার ফুটবলারদের বিরুদ্ধে পাসিং ফুটবলেই জোর দিচ্ছেন বাংলার কোচ। কেরলের আক্রমণ রুখতে ডাবল স্ক্রিনিংয়ের রাস্তায় হাঁটছেন রঞ্জন। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনেই দলকে সাজাতে চান। জোড়া ব্লকারের ভূমিকায় নবি আর তন্ময় ঘোষ থাকছে। মাঝমাঠে সুজিত, জয় বাজ আর ফারদিন আলি। সিঙ্গল স্ট্রাইকার হিসেবে থাকছে মহিতোষ রায়।
অভিজ্ঞ প্রিয়ন্ত সিং, অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদাররা দলকে উজ্জীবিত করছেন। বাংলার ফুটবলের উন্নতিতে ফারদিন, মহিতোষ, সুজিতদের সেরাটা দেওয়ার বার্তা সিনিয়র ফুটবলারদের। এ বারের সন্তোষে একমাত্র কেরলের কাছেই হেরেছে বাংলা। বাকি সবকটি ম্যাচেই জিতেছেন তন্ময়রা। সন্তোষের মঞ্চে ভালো পারফর্ম করলেই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার ডাক মিলতে পারে। আইএসএল, আই লিগ ক্লাবগুলোর স্পটাররাও নজর রেখেছেন সন্তোষে। বাংলার ফুটবলে ফের জোয়ার আনতে সন্তোষ চ্যাম্পিয়ন হয়েই বাড়ি ফিরতে চায় টিম বেঙ্গল।
আরও পড়ুন: Santosh Trophy Final: কেরলের বিরুদ্ধে সন্তোষ ফাইনালে বদলা নিতে চাইছেন মনোতোষ-প্রিয়ন্তরা





