Brazil Football: বিশ্বকাপের আগে আবার নতুন কোচ! ক্ষুব্ধ ব্রাজিলের কিংবদন্তিরা কী বলছেন?
Brazil Football Controversy: দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম জায়ান্ট ব্রাজিল। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছে। ডিফেন্ডিং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ব্রাজিল।

কলকাতা: বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র এক বছর। তার আগেই ব্রাজিল ফুটবলে অস্বস্তি। লাগাতার দলের খারাপ ফলের জন্য ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ছাঁটাই করেছে কোচ দোরিভালকে। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তাদের জন্য এটা মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়। বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছে। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম জায়ান্ট ব্রাজিল। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছে। ডিফেন্ডিং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ফুটবলার দুঙ্গা ও গিলবার্তো সিলভা পারফরম্যান্সে যেমন হতাশ, তেমনই ফেডারেশনের সিদ্ধান্তেও অখুশি। এই সময়ে কোচ পরিবর্তনকে একদমই ভালো চোখে দেখছেন না। ইন্ডিয়ান অলস্টারস বনাম ব্রাজিল লেজেন্ডদের মধ্যে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে চেন্নাইতে এসেছেন কিংবদন্তি দুঙ্গা। ব্রাজিলের দুই প্রাক্তনী কোচ বদল নিয়ে তাঁদের মত জানান।
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার দুঙ্গা বলেন, “আমাদের দেশেই অনেক ভালো ভালো কোচ রয়েছে। বিশ্বকাপ শুরু হতে হাতে আর মাত্র এক বছর সময়। আর আমরা এখনও নতুন কোচ খুঁজে চলেছি। এই পরিস্থিতির কারণে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছি।’ ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার প্রথম পছন্দ রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি। লা-লিগার বড় দল রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।
ব্রাজিলের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের আর এক ফুটবলার গিলবার্তো সিলভা বলেন,”মানুষ সব সময় আবেগের বশে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত অনেক সময় খুব বাজে প্রভাব ফেলে থাকে। আমরা বিশ্বকাপ শুরুর এক বছর আগে নতুন কোচ খুঁজে চলেছি। যেটা পরে গিয়ে দলের জন্য সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে। এরপরও আশা করি আমরা খুব ভালো ফল করব।”
ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহার মতো ব্রাজিলের প্রচুর গেমচেঞ্জার রয়েছেন। তাঁরা ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছে। দেশের জার্সিতে কার্যকর হতে পারছেন না। গিলবার্তো বলেন, “ক্লাবের হয়ে এবং দেশের হয়ে খেলার মধ্যে অনেক পার্থক আছে। ক্লাবের হয়ে খেলার সময় তাঁরা অনেক বেশি সময় দল এবং কোচের সঙ্গে কাটায়। যখন দেশের হয়ে খেলার প্রসঙ্গ ওঠে, তারা খুব কম সময় এক সঙ্গে কাটান। এত কম সময়ে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলাটা খুব সমস্যার হয়ে যায়।’





