EURO 2024: ইউরোতে চোখ ধাঁধানো গোলের বন্যা, এত দামি বলই এর কারণ!
Euro 2024 Costly Match Ball: সমর্থকদের কাছে সুন্দর খেলা যে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে, বলাই যায়। শুধু আর্দা গুলের কিংবা মার্ট মুলডেরের গোলই নয়, রোমানিয়ার নিকোলাই স্টানিচও দূরপাল্লার শটে গোল করেছিলেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। তেমনই কর্নার কিক থেকে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন, যা ক্রসবারে ধাক্কা খেয়েছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুইস তারকা জার্দান শাকিরিও দুর্দান্ত একটা গোল করেছেন।

বলের জন্যই কি বলে বলে এত সুন্দর সুন্দর গোল? ইউরো কাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম রাউন্ড ‘এক সে বড়কড় এক’ গোল দেখা গিয়েছে। বেশ কিছু গোল ইতিমধ্যেই চর্চায়। বিভিন্ন দিক থেকেই যেন উড়ে এসে জালে ঢুকছে বল। যেমন ২০ মিটার দূর থেকে কার্লিং শটে তুরস্কের আর্দা গুলেরের গোলটির কথাই ধরা যাক! জর্জিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচেই গুলেরের সতীর্থ মার্ট মুলডেরের গোলটির কথাও বলা যায়। অনেকেই কিন্তু মনে করছেন দামি বলই এর কারণ। এ বারের ইউরো কাপ খেলা হচ্ছে, অ্যাডিডাসের ফুসাবালিবে বলে। জার্মান নাম দেওয়া হয়েছে। ইউরোর আয়োজকও জার্মানি। যাই হোক, এই বলের নামের অর্থ দাঁড়ায় ‘ফুটবলের ভালোবাসা’। প্রতিটি বলের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা! এই ভালোবাসাতেই কি সুন্দর গোল? ফুটবলাররাই বা কী রিভিউ দিচ্ছেন!
ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন মনে করছেন, ১৭০ মার্কিন ডলারের এই ফুটবল অন্যতম কারণ হতে পারে। হ্যারির কথায়, ‘বলে যখন হিট করছি, এটা কিন্তু গতি হারাচ্ছে না।’ ফুটবলাররা যে এই বলের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন তা খেলার গতিতেই পরিষ্কার। বিশেষ করে দূর পাল্লার শটের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করছে। হ্য়ারি কেন আরও যোগ করেন, ‘এতে গতি আছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, স্ট্রাইকারদের জন্য খুবই ভালো বল। যারা গোল করতে ভালোবাসে তাঁদের কাছে বন্ধু। গোলকিপারদের সমস্যা হয়তো হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমি কোনও অভিযোগ করতে চাই না।’
সমর্থকদের কাছে সুন্দর খেলা যে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে, বলাই যায়। শুধু আর্দা গুলের কিংবা মার্ট মুলডেরের গোলই নয়, রোমানিয়ার নিকোলাই স্টানিচও দূরপাল্লার শটে গোল করেছিলেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। তেমনই কর্নার কিক থেকে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন, যা ক্রসবারে ধাক্কা খেয়েছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুইস তারকা জার্দান শাকিরিও দুর্দান্ত একটা গোল করেছেন। তেমনই ইতালির নিকোলো বারেলার শটে নড়ার সময়টুকু পাননি প্রতিপক্ষ গোলকিপার। বলতে হয় পর্তুগালের বিরুদ্ধে লুকাস প্রোবোডের দূরপাল্লার শটে গোলের কথাও।
এর আগে ফুটবলের বড় মঞ্চে বল নিয়ে অনেক অভিযোগই উঠত। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহার হওয়া জাবুলানি বল নিয়ে অনেকেই বলেছিলেন, এই বলে কী হবে কিছুই অনুমান করা যায় না। এ বার কিন্তু আক্রমণের ভাগের প্লেয়াররা খুবই খুশি। ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা উয়েফাও বলছে, নিখুঁত এবং ধারাবাহিকতার কথা মাথায় রেখেই এই বল ডিজাইন করা হয়েছে। সাধারণত, বড় মঞ্চে যে বল ব্যবহার করা হয় ভারতীয় মুদ্রায় তার আনুমানিক দাম, ৫-৬ হাজার টাকা। এ বার ১৪ হাজারেরও বেশি দাম। গোলকিপারদের যে কিছুটা হলেও গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে, তা বলাই যায়। তবে ফুটবলপ্রেমীরা সুযোগ পাচ্ছেন চোখ ধাঁধানো গোল দেখার।





