IFA: ‘প্রভাবশালী’ ক্লাবগুলোকে সুবিধা দিতেই লিগের চেহারা বদল, বাড়ছে বিতর্ক
Kolkata Football: সেখানে ঠিক হয়, এ বছর থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনের দুটো ক্লাব একসঙ্গে খেলবে। প্রিমিয়ার এ-তে রয়েছে ১৬টা দল। আর প্রিমিয়ার বি-তে রয়েছে ১০টা দল। মোট ২৬টা দল এ বার খেলবে একসঙ্গে। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?
কলকাতা: কলকাতা ফুটবলে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। প্রিমিয়ার এ আর প্রিমিয়ার বি মিলে যেতে চলেছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে এ বার কলকাতা লিগে খেলতে দেখা যাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ডহারবার এফসিকেও। আইএফএ-র ইতিহাসে নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী ঘটনা। দুই ডিভিশন এক হয়ে গেল। মঙ্গলবার আইএফএর লিগ সাব কমিটির সভায় নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত। সেখানে ঠিক হয়, এ বছর থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনের দুটো ক্লাব একসঙ্গে খেলবে। প্রিমিয়ার এ-তে রয়েছে ১৬টা দল। আর প্রিমিয়ার বি-তে রয়েছে ১০টা দল। মোট ২৬টা দল এ বার খেলবে একসঙ্গে। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? এর পিছনে অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন ‘প্রভাবশালী হাত’। কোন ক্লাব বা কাদের সুবিধে দিতে রাজ্য ফুটবল সংস্থা এমন সিদ্ধান্ত নিল? আইএফএ-র এই সিদ্ধান্ত মোড় নিচ্ছে বিতর্কিত দিকে! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইএফএ-র এই সিদ্ধান্তের ক্ষোভ চড়াচ্ছে প্রথম ডিভিশনের ক্লাবগুলো। কেউ কেউ বলছেন, এক প্রভাবশালী ক্লাবকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নিল আইএফএ। রাজ্য ফুটবলের ইতিহাসে এমন ঘটনা সত্যিই নজিরবিহীন। একসঙ্গে ১০টি ক্লাব সরাসরি প্রমোশন পেয়ে গেল। প্রথম ডিভিশনে ২৪টি ক্লাব খেলে। সেখানে শ্রীভূমি স্পোর্টিং, বেলঘরিয়া অ্যাথলেটিকস, কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন, সুরুচি সংঘের মতো ক্লাবও রয়েছে। প্রিমিয়ার বি ডিভিশনের ক্লাবগুলোকে সরাসরি সুপার ডিভিশনে প্রোমোট করার সিদ্ধান্তকে ভালো চোখে দেখছে না প্রথম ডিভিশনের ক্লাবগুলো। তবে বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে কেউই প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করতে চাইছেন না।
কেউ কেউ বলছেন, এক ‘বিশেষ’ এবং ‘প্রভাবশালী’ ক্লাবকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এ ভাবে লিগের চেহারা রাতারাতি পাল্টে ফেলল আইএফএ। এ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ যাই থাকুক না কেন, প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস কেউ দেখাতে পারছেন না। এমনকি লিগ সাব কমিটির বৈঠকেও একজন কর্তা বিরোধিতা করার চেষ্টা করলেও, তা ধোপে টেকেনি। ১ জুন প্রথম ডিভিশন ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবে আইএফএ। কোনও ক্লাব কর্তারা ক্ষোভ পুষে রাখলেও সামনা সামনি ‘আসল’ কথা বলার সাহস দেখাতে পারছেন না। শুক্রবারের সভায় বিরোধীরা মাথা তুলবেন কিনা, তা দেখার।