Mohun Bagan vs Mumbai City FC: আইএসএল চ্যাম্পিয়ন বনাম লিগ শিল্ডজয়ী, ডুরান্ডে আজ মোহনবাগান-মুম্বই সিটি মেগা-ম্যাচ
Durand Cup 2023, 4th Quarter-Final: আরও সহজ করে বললে, মোহনবাগানের সামনে মিশন ইমপসিবল। আর তা পেরোতে প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে পারফরম্যান্স করতে হবে। তাহলে হয়তো শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব। নকআউট মানেই তো শেষ সুযোগ!

গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে নকআউট নিশ্চিত করেছিল মুম্বই সিটি এফসি। এ বারের ডুরান্ড কাপে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড। অন্য দিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে থেকে নকআউটে মোহনবাগান। তার মধ্যেও দ্বিতীয় হয়েছিল। গ্রুপ পর্বে প্রথম দু-ম্যাচ জিতলেও শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হার। নকআউটে ওঠাই দায় হয়েছিল। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে গোলপার্থক্যে ‘বিবেচনায় উত্তীর্ণ’ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এ তো গেল এই টুর্নামেন্টের চিত্র। ডুরান্ড কাপের ১৩২তম সংস্করণের শেষ কোয়ার্টার ফাইনাল আজ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান বনাম মুম্বই সিটি এফসি মেগা-ম্যাচ। কৌতুহল জাগতেই পারে, কেন মেগা-ম্যাচ বলা হচ্ছে! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের গত সংস্করণে লিগ শিল্ড জিতেছে মুম্বই সিটি এফসি। মোহনবাগান আইএসএলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। দু-দলের সাক্ষাৎ বরাবরই ঘটনাবহুল হয়। যে টুর্নামেন্টই হোক না কেন। সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে মোহনবাগান-মুম্বই সিটি এফসি দ্বৈরথ ভারতীয় ফুটবলে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। মোহনবাগানের কাছে বরাবরই শক্ত গাঁট মুম্বই সিটি এফসি। তাদের কাছে হয় হার, নয়তো ড্র। মোহনবাগানের সাফল্য এখনও অবধি এটুকুই। সাত-বারের সাক্ষাতে মুম্বই সিটি এফসিকে হারাতে পারেনি মোহনবাগান। ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে এই শক্ত গাঁট পেরোতে না পারলে শেষ চারে ওঠা যাবে না।
ডুরান্ডের এ বারের সংস্করণে নিজেদের শেষ ম্যাচ অর্থাৎ ডার্বিতে হারলেও এএফসি কাপে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলবে, মুম্বই সিটি এফসি খেলবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এএফসি কাপে দুটি ম্যাচই ৩-১ ব্যবধানে জিতলেও মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলেছেন, তাঁর দল সবে ৫০ শতাংশ তৈরি। মুম্বইকে হারাতে কি এই ৫০ শতাংশ প্রস্তুত দল নিয়ে সম্ভব?
অন্য দিকে, সেরা ছন্দে মুম্বই সিটি এফসি। গ্রুপে তিন ম্যাচে জয়। এক ডজন গোল করেছে তারা। গোল খেয়েছে মাত্র একটি। এক ডজন গোলের মধ্যে চারটি গোল আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার জর্জ পেরেরা দিয়াজের। বাকি আটটি গোল ভিন আটজন প্লেয়ারের। এই পরিসংখ্যানে একটা জিনিস পরিষ্কার, মুম্বই শিবিরে গোল করার লোকের অভাব নেই। আরও সহজ করে বললে, মোহনবাগানের সামনে মিশন ইমপসিবল। আর তা পেরোতে প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে পারফরম্যান্স করতে হবে। তাহলে হয়তো শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব। নকআউট মানেই তো শেষ সুযোগ!
চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল, সন্ধে ৬টা, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি,
সোনি টেন ২, সোনি লিভ অ্যাপে





