AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

East Bengal: স্বপ্ন অধরা, শিল্ডের পর সুপার কাপ ফাইনালেও টাইব্রেকারে হার ইস্টবেঙ্গলের

East Bengal: আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে টাইব্রেকারেই হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি শুটআউটের সময় গিলের জায়গায় দেবজিৎ মজুমদারকে নামানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন সন্দীপ নন্দী। টাইব্রেকারে ম্যাচ হারের পর সন্দীপের সঙ্গে অস্কারের ঝামেলার রেশ এতটাই বাড়ে যে, সুপার কাপ খেলতে গিয়ে গোয়া বিমানবন্দর থেকেই ইস্তফা দিয়ে শহরে ফিরে আসেন আশিয়ানজয়ী গোলকিপার।

East Bengal: স্বপ্ন অধরা, শিল্ডের পর সুপার কাপ ফাইনালেও টাইব্রেকারে হার ইস্টবেঙ্গলের
জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2025 | 11:49 PM
Share

গোয়া: স্বপ্ন অধরাই থাকল। ভারতসেরা হতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ লাল-হলুদের। প্রিয় ক্লাবের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন মাণ্ডবী নদীর তীরেও ভিড় জমিয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। পেনাল্টি শুটআউটে মহম্মদ রাশিদ আর পিভি বিষ্ণুর লক্ষ্যভ্রষ্ট শটই আশায় জল ঢেলে দিল। ভারতীয় ফুটবলের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মাঝেও ইস্টবেঙ্গলকে ঘিরে আশা তৈরি হয়েছিল। সুপার কাপের সেমিফাইনালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দাপুটে ফুটবল খেলার পর খেতাব জয়ের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। ফাতোরদার মাঠে বাস্তবের মাটিতে এসে দাঁড়াল অস্কার ব্রুজোর দল।

হামিদ আহদাদের চোটের কারণে প্রথম একাদশে শুরু করেন হিরোশি ইবুসুকি। জাপানি ফুটবলারের জঘন্য পারফরমেন্স দুশ্চিন্তা আরও বাড়াতে পারে। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রী হেডারের পজিশনে থেকেও গোয়া গোলকিপারের হাতে বল জমা দেন হিরোশি। প্রথমার্ধে কিছুটা ভাল ফুটবল খেলেন মিগুয়েলরা। তবে এই ইস্টবেঙ্গলে গোল করার লোকের অভাব। তা সুপার কাপের ফাইনালে আবারও স্পষ্ট। স্ট্রাইকারের ব্যর্থতাতেই ট্রফি মাণ্ডবী নদীর তীরে ফেলে এল ইস্টবেঙ্গল। গোয়া গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। লাল-হলুদের তিন কাঠির নীচে প্রভসুখন গিল অপ্রতিরোধ্য হয়ে না দাঁড়ালে ম্যাচ হয়তো ৯০ মিনিটেই শেষ হয়ে যেত। কেভিন সিবিয়ে-আনোয়ার জুটিও রক্ষণকে ভরসা দিলেন। মাঝমাঠও ভাল লড়াই করল। কিন্তু গোয়া বক্সের সামনে গিয়েই লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারল না অস্কার ব্রুজোর দল। পঞ্জাব ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় ডাগ আউটে ছিলেন না তিনি। গ্যালারি থেকেই বিনো জর্জদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ।

দ্বিতীয়ার্ধে পিভি বিষ্ণুর একটি শট গোয়া গোলরক্ষক হৃত্বিকের হাত ফস্কে জালে জড়িয়ে যাচ্ছিল। বল গোললাইন টপকানোর আগেই তা কোনওক্রমে বাঁচিয়ে দেন হৃত্বিক। ব্রাইসন ফার্নান্ডেজের জোরালো শট ইস্টবেঙ্গলের সাইডপোস্টে লেগে ফিরে আসে।

১২০ মিনিট ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে প্রথম শটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন কেভিন সিবিয়ে। গোয়ার হয়ে প্রথমে শট নিতে আসেন বোরহা। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী গোল মিস করেন। তখন মনে হচ্ছিল ২০২৩ জানুয়ারির রিপিট টেলিকাস্ট হয়তো হতে চলেছে। গতবারের সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নরা ব্যাকফুটে থেকেও ঘরের মাঠে শেষ পর্যন্ত জিতে ট্রফি ঘরেই রেখে দিল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সাউল ক্রেসপো, মিগুয়েল, আনোয়ার গোল করলেও রাশিদের শট বার উচিয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ফল ৪-৪ থাকার পর সাডেন ডেথে খেলার নিষ্পত্তি হয়। ইস্টবেঙ্গলের পিভি বিষ্ণুর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬-৫ গোলে জিতে বাজিমাত গোয়ার।

আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে টাইব্রেকারেই হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি শুটআউটের সময় গিলের জায়গায় দেবজিৎ মজুমদারকে নামানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন সন্দীপ নন্দী। টাইব্রেকারে ম্যাচ হারের পর সন্দীপের সঙ্গে অস্কারের ঝামেলার রেশ এতটাই বাড়ে যে, সুপার কাপ খেলতে গিয়ে গোয়া বিমানবন্দর থেকেই ইস্তফা দিয়ে শহরে ফিরে আসেন আশিয়ানজয়ী গোলকিপার। সুপার কাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের তিন কাঠির তলায় প্রভসুখন গিলই ছিলেন। ম্যাচে ১২০ মিনিট লাল-হলুদের দুর্গ যেভাবে আগলে রাখলেন, টাইব্রেকারে তা পারলেন না। হাতের নাগাল এড়িয়ে জালে জড়িয়ে যায় সিভেরিওদের শট। নক আউট পর্যায়ে টাইব্রেকারের ভোগান্তি যে ইস্টবেঙ্গলকে তাড়া করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।